লোকটি গাধার কানে কানে কি বলেছিলো

47

ফজলুল হক

আমি যখন এই লেখা লিখতে শুরু করেছি তখন করোনার দাপটে সারা দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। লকডাউন দিয়েও সংক্রমণ এবং মৃত্যুর পরিমাণ কমানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, পুরো ঢাকা শহরকে হাসপাতাল বানালেও এমন দিন আসছে যে করোনা রোগীর স্থান সংকুলান হবে না। আইসিডিডিআরবি’র গবেষকগণ বলেছেন সংক্রমিত ব্যক্তিদের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। আমার অসুস্থতার অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেও সফল হইনি। করোনার জন্য ঘরে বসে আছি। আমার জানাশোনা লোকের মধ্যে অনেকেই এখন করোনায় আক্রান্ত। এমনকি আমি যে হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করাই সেখানকার দু’একজন কর্মকর্তাও করোনায় আক্রান্ত। আমি সারাদিন ঘরে বসে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ এবং টকশো দেখি। এখন টিভি টকশোর বিষয়বস্তু থাকে করোনা। সাংবাদিক, চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিদ, রাজনীতিবিদগণ টিভি চ্যানেলে বিস্তর বক্তব্য দেন। এ বক্তব্য আমি উপভোগ করি এবং তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি।
মধ্য পঞ্চাশের দশকে আমার বয়স যখন কম ছিলো তখন থেকে আমি এবং সচেতন পরিবারের ছেলেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনসভা বা পথসভায় ভিড় করতো। বয়স্করা তো আসতোই। তখন টাকা দিয়ে জনসভায় লোক আনতে হতো না। এমনকি আমাদের হালিশহরেও ষাটের দশকের শুরু থেকে রাজনৈতিক দলের জনসভা অনুষ্ঠিত হতো। তখন টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন ইত্যাদি ছিলোনা খুব কম লোকের ঘরে রেডিও ছিলো। মানুষের বিনোদনের এবং রাজনৈতিক মত প্রকাশের প্রধান মাধ্যম ছিলো মিটিং মিছিল করা। অনেক স্থানে রাত্রে কবিগান, নাটক, কাউয়ালির আসর হতো।
আমাদের হালিশহরে বিভিন্ন জনসভায় আমরা আব্দুল মালেক উকিল, আবুল কাশেম সাবজর্জ, ওহাব মিয়াকে বক্তৃতা করতে দেখেছি। এম.এ.আজিজের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমাদের এলাকায় তরুণদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থন বেশি ছিলো। আমরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, কফিল উদ্দিন উনাদের ভাষণ শুনেছি। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হালিশহরে খুবই নন্দিত একজন জননেতা ছিলেন। এ.এ.আজিজ, ইসহাক চেয়ারম্যান, সুলতানা টেক্সটাইল মিলের ইউসুফ মিয়া, সুলতান কন্ট্রাকটার উনারা বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক ছিলেন। এম.এ.আজিজ ছিলেন উনার ব্যক্তিগত বন্ধু। আমি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, লালকুর্তা আব্দুল গফফর খান, ওয়ালি খান, গোলাম মোহাম্মদ খান লুন্দুখোর, পীর পাগাড়ো, গাউস বক্স বেজেনজো, জুলফিকার আলী ভুট্টো, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজম খান, মাদারে মিল্লাত, মিস ফাতেমা জিন্নাহ, আব্দুল কাইয়ুম খান, আইয়ুব খানসহ আরো অনেক পশ্চিম পাকিস্তানি নেতার বক্তৃতা শুনেছি। এক সময় আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন আমেনা বেগম উনার বক্তব্যও শুনেছি। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীসহ অনেক ছাত্রনেতা ভালো বক্তৃতা করতেন। সিরাজুল আলম খান প্রকাশ্যে বক্তব্য না দিলেও উনার ঘরোয়া বক্তব্যও শুনেছি। তোফায়েল আহমেদ, আ.স.ম আব্দুর রব, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী এই চার ছাত্রনেতা খুবই ভালো বক্তৃতা করতেন। বাম নেতাদের মধ্যে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য ভালো লাগতো। চট্টগ্রামে ছাত্রনেতাদের মধ্যে ভালো বক্তব্য দিতেন আশরাফ খান, প্রফেসর শায়েস্তা খান, স্বপন চৌধুরী, আবু ছালেহ, মোকতার আহমদ, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, এস.এম.ইউসুফ, ইদরিস আলম, আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাবের আহমদ আজগারী, আব্দুল মতিন, কিবরিয়া, শওকত হাফিজ খান রুশ্নি, সুলতানুল কবির চৌধুরী, আইয়ুব বাঙালি, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, শেখ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, কবি মোস্তফা ইকবাল। ছয় দফার পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় তাহারা বক্তৃতায় অভিনব কৌশল অবলম্বন করতেন। দুটি উদাহরণ দিচ্ছি: বন্দর এলাকায় ছয় দফার প্রচারণামূলক সভা হচ্ছে, বক্তা-শ্রোতাদের বললেন আপনারা মাথার টুপি হাতে নেন। টুপি ভালো করে দেখুন আপনার এই টুপির উপরে রাওয়ালপিন্ডি কর কেটে নিচ্ছে। আরেক বক্তা বললেন পূর্ব পাকিস্তান কেমন দেশ আপনারা জানেন? এই দেশে শুধুমাত্র পুঁটি মাছের তেল রপ্তানি করলে বাষট্টি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। পাকিস্তান এই টাকা লুট করে নিচ্ছে। বক্তৃতার মধ্যে কি পরিমাণ রাজনৈতিক শক্তি লুকিয়ে থাকে তা তারাই বলতে পারবে যারা এম.এ.আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম.এ.হান্নান এবং এম.এ.মান্নানের বক্তৃতা শুনেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের রাজনৈতিক শক্তি সর্বকালের সর্বরেকর্ড জয় করেছে।
পাঁচ বছর আগে, আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ। বিজ্ঞান অনুষদের একজন কৃতি অধ্যাপক চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালনের কর্মসূচিতে আলোচনা সভার ব্যবস্থা ছিলো। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সে সভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। তিনি বললেন আমার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া। তখন গ্রামে স্কুল ছিলো অনেক দূরে দূরে। আমি স্কুল থেকে ফেরার সময় আমার মাস্টার মশাইও আমার সাথে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলেন। আমাদের বাড়ি পাশাপাশি। পথে একটি খাল পার হতে হয়। খালের পাড়ে এসে মাস্টার মশাই বললেন, অরুণ, তুই উত্তর দিকে তাকা। বই মাথার উপরে নে। আমি দক্ষিণ দিকে তাকাই ছাতা গুটিয়ে রাখি। আমরা যতই খালের দিকে যাচ্ছি লুঙ্গি উপরে উঠাতে হচ্ছে। তারপর লুঙ্গি মাথার উপরে তুলে খাল পাড় হই। মাস্টার মশাই ডাক দিলেন অরুণ এবার বাড়ি চল। আমরা লুঙ্গি তুলে খাল পাড় হওয়ার যুগের মানুষ। পাকিস্তান সরকার কোনদিন একটি সাঁকো বানিয়ে দেয়নি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা নদীর নিচে টানেল বানাচ্ছে। প্রমত্তা পদ্মার উপরে বানাচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেতু। আপনারা বলুন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপনারা কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাবেন? আমি যখন চাকুরিতে ঢুকেছিলাম তখন আমার বেতন ছিল মাসে পাঁচশ টাকা। এখন শেখ হাসিনার সরকার আমাকে বেতন দিচ্ছে মাসে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। কি বলবেন শেখ হাসিনাকে?
১৯৭৪-৭৫’র দিকে আমরা লেখকেরা মাঝে মাঝে ছোটখাটো আলোচনা অনুষ্ঠান করতাম। তখন আমি ছিলাম লেখকদের মধ্যে একেবারে ছোট। একজন প্রবীণ লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব ভক্ত ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলতেন এই ধরনের একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত প্রদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা খুবই কঠিন কাজ। বঙ্গবন্ধু ছাড়া কেউ এ কাজটি করতে পারবেন না। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট সকালে আমি বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার খবর শুনে ঐ প্রবীণ লেখককে ফোন করি। তখনকার দিনে একমাত্র কালো রঙের সেট-নির্ভর ল্যান্ড টেলিফোন ছাড়া অন্য কোন ফোন ছিলো না। টেলিফোন ধরে লেখক সাহেব এমন এক হুংকার দিলেন আমার হাত থেকে টেলিফোন সেট মাটিতে পড়ে যায়। আমি বুঝতে পারলাম, যে লেখক বিভিন্ন সভা সমিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করতেন তার কাছে এই মৃত্যু সংবাদ অনেক কষ্টদায়ক হয়েছিলো। আমরাও অনেক আঘাত পেয়েছিলাম।
তার দু’এক বছর পর একটি অনুষ্ঠানে আবার ঐ লেখকের সাথে দেখা হয়। তিনি সাহিত্য বিষয়ক বক্তব্য রাখেন এবং বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে তার বক্তব্যে কিছুই ছিলো না। বক্তৃতা শেষ করার আগে তিনি বললেন বক্তৃতার শক্তি কতো প্রবল তা আপনারা জানেন? বক্তৃতা মানুষকে হাসাতে পারে। কাঁদাতে পারে। ভাবাতেও পারে। এবার একটা চুটকি বলি। ভাষণের শেষ অংশে লেখক বললেন লন্ডনের এক বাঙালি ব্যবসায়ী একটি গাধা পালন করতো। নাদুস নুদুস চেহারার এ গাধাটি সকলের পছন্দের ছিলো। একদিন গাধা অসুস্থ হলো এবং তাঁর ঘাড় শক্ত হয়ে গেলো। গাধা ডানে বামে ঘাড় নাড়াতে পারেনা। আস্তে আস্তে তার পা-ও শক্ত হয়ে গেলো। গাধা হাটতেও পারেনা। গাধা স্থির হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। চিকিৎসক দেখানো হলো কোন কাজ হলো না। একদিন ঐ বাসায় একজন মেহমান এসে জানতে পারলো উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা গাধাটি অসুস্থ। গাধা পা এবং ঘাড় নাড়তে পারেনা। মেহমান বললো আমি গাধাকে সুস্থ করতে পারবো। বাড়ির লোকেরা বললো তাহলে আপনি চেষ্টা করুন। লোকটি গাধার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে কি যেনো বললো। গাধা ডানে বামে ঘাড় নাড়ালো। আবার গাধার কানে কানে লোকটি কিছু বললো। এবার গাধা অনবরত ঘাড় নাড়াতে লাগলো। ঘাড় নাড়া আর থামেনা। এ অবস্থায় লোকটি আবার গাধার কানে কানে কিছু বললো। এবার গাধা দৌড়াতে শুরু করলো। প্রবীণ লেখক এখানে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন। নেমে দৌড়ে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন। দর্শকশ্রোতাও তার পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলেন। তাদের প্রশ্ন ছিলো গাধার কানে কানে লোকটি কি বলেছিলো? প্রবীণ লেখক বললেন ওটা গোপন বিষয়, গোপনে তোমাদেরকে জানাবো। পরের দিন আমি লেখকের বাসায় গেলাম। ঐ সভায় উপস্থিত আরো দু’একজনও এসেছেন। আমাদের প্রশ্ন ছিলো লোকটি গাধার কানে কানে কি বলেছিলো? প্রশ্নটি শুনে লেখক পকেট থেকে রুমাল বের করলেন। চোখের জল মুছলেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন লোকটি গাধাকে বলেছিলো তুমি বাংলাদেশে যাবে? গাধা আপত্তি জানিয়ে মৃদু ঘাড় নেড়েছিলো। মানে সে যাবে না। দ্বিতীয়বার লোকটি গাধাকে কানে কানে বলেছিলো যেই দেশে কিছু লোক জাতির পিতাকে খুন করে সেই খুণীদেরকে এবং সেই দেশকে তুমি পছন্দ করো? গাধা তীব্রভাবে ঘাড় নেড়েছিলো। তৃতীয় বার লোকটি গাধাকে বলেছিলো বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মধ্য থেকে দু’একজন লন্ডনে এলে তুমি তাদের সাথে দেখা করবে? এবার গাধা কপাল পুঁচকে দৌড়াতে শুরু করে।
আমি চোখের গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি। চিকিৎসার জন্য একাধিকবার ভারতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলেও করোনার জন্য যেতে পারছি না। আমি আতংকে আছি কিভাবে আমার চিকিৎসা হবে? কখন আমি সুস্থ হবো। আমার সামনে দুটি অপশন আছে। কোন ক্ষমতাধর রাজনৈতিক নেতার সাহায্য নেওয়া যিনি আমাকে করোনার ভিতরেও ভিসা পাওয়া বা প্লেনে জার্নি করার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন। আরেকটি অপশন আছে কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের সাহায্য নেওয়া যিনি আমাকে অলৌকিকভাবে ভারতের কাক্সিক্ষত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারে। এই দুই ধরনের লোকের যে কোন একজনের কাছে আমি যদি প্রশ্ন করি আমাকে সাহায্য করতে পারবেন? তিনি কি উত্তর দিবেন। আমার একজন শিক্ষকের বক্তব্য শুনেছিলাম, তিনি বলেছিলেন আমেরিকার একটি রাজ্য থেকে আরেকটি রাজ্যে প্লেনে যাচ্ছেন দুই অধ্যাপক। তাদের সময় কিভাবে কাটবে। তারা ঠিক করলেন বেট খেলবেন। একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করবেন উত্তর দিতে পারলে দশ হাজার ডলার জিতবেন, না পারলে দশ হাজার ডলার হারাবেন। প্রথম অধ্যাপক প্রশ্ন করলেন এমন এক প্রাণীর নাম বলুন, হাটার সময় যার পা দুটি, সাতার কাটার সময় চারটি এবং আকাশে উড়ার সময় যার পা হয়ে যায় আটটি। প্রানীটির নাম কি? দ্বিতীয় অধ্যাপক ভাবতে লাগলেন, ভাবতে ভাবতে প্লেন ল্যান্ডিংয়ের সময় হলো। কিন্তু প্রাণীটির নাম মাথায় এলোনা। তিনি দশ হাজার ডলারের একটি চেক লিখলেন এবং প্রশ্নকারীর হাতে দিলেন। দিয়ে বললেন এটাই ছিলো আমার জীবনের শেষ সঞ্চয়। প্লেন নামছে এবার দ্বিতীয় অধ্যাপকের প্রশ্ন করার পালা। তিনি বললেন আমার মাথায় কোন প্রশ্ন আসছে না। আপনি বরং আপনার প্রশ্নের উত্তরটি বলুন। প্রথম অধ্যাপক দশ হাজার ডলারের চেক ফেরত দিয়ে বললেন আমি যে প্রশ্ন করেছি তার কোন উত্তর আমার জানা নাই।
আমি আমার চোখের চিকিৎসার ব্যাপারে যে প্রশ্ন রাজনৈতিক নেতা ও আধ্যাত্মিক সাধককে করেছি তারও কোন উত্তর নাই। আমি সাধারণ মানুষ, আপনি ক্ষমতাধর মন্ত্রী, উনি আধ্যাত্মিক সাধক আমরা যে যাই হইনা কেন করোনার কাছে আমাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে। করোনা মহামারীর ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।

লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, কলামিস্ট