লেবুর বাড়তি দাম পেয়ে খুশি চন্দনাইশের কৃষক

17

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লেবুর ফলন ভাল হয়নি। এতে মৌসুমের শুরু থেকেই লেবুর দাম বাড়তি। রমজান মাস হওয়ায় লেবুর প্রচুর চাহিদায় দাম বাড়তি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।
প্রতিটি লেবু ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। রমজান শুরু হওয়ার পর ফলন একটু বাড়তি পাওয়ার কারণে ১২০-১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ডজন। উপজেলার পাহাড়ি এলাকা লর্ড এলাহাবাদ, দোহাজারী লালুটিয়া, ছৈয়দাবাদ, ধোপাছড়ি এসব এলাকায় লেবুর বাগান রয়েছে। এ সকল বাগানে লেবুর ফুল প্রচুর আসলেও যথাসময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফলন ভাল হয়নি বলে জানিয়েছেন লেবু চাষীরা। তবে মৌসুমের প্রথম দিকে লেবুর দাম বেশি থাকায় অনেকটা লাভের মুখ দেখছে কৃষকরা। প্রতিভার লেবু বর্তমানে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় অনেক লেবুর গাছ রয়েছে। লেবু বিক্রেতারা এ সব লেবু সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের বাদামতল, খানহাট রেলস্টেশন, বাগিচাহাট, দোহাজারী রেল স্টেশন মাঠ, রৌশনহাট ও কমলমুন্সির হাটে প্রতিদিন বিক্রি করছে। চন্দনাইশের লেবু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে শহরে যাচ্ছে। সেখানে ১০ টাকার লেবু ১৫-২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, লর্ড এলাহাবাদ, দোহাজারীর লালুটিয়া, ধোপাছড়ি পাহাড়ি এলাকায় ছোটবড় ৫০টির অধিক লেবুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানের মালিক শ্রমিকেরা ভোরে বাগান থেকে লেবু তুলে বাজারে এনে বিক্রি করে থাকে।লেবু চাষী উত্তর জোয়ারার আবদুর রহিম, সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, তারা প্রত্যেকেই এক একটি বাগান নিয়ে লেবু ও অন্যান্য ফলজ বাগান করে যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লেবুর ফলন ভাল হয়নি। চন্দনাইশে হিমাগারের অভাবে লেবু সংরক্ষণ করতে না পারায় বাগানে অনেক সময় লেবুতে পচন ধরে নষ্ট হয়। এতে লোকসান গুণতে হয় কৃষকদের। এলাকায় হিমাগার বা জুস ফ্যাক্টরি নির্মাণের জন্য বিত্তবান ও সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার বলেছেন, এখনো পুরোদমে লেবু উৎপাদন শুরু হয়নি। রমজান মাসের কারণে লেবুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। চন্দনাইশে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক লেবু বাগান রয়েছে। এখানকার লেবু সুস্বাদু ও রসালো হওয়ার কারণে চাহিদা রয়েছে প্রচুর।