লিবিয়া সংকট সমাধানে বার্লিনে বসছে শান্তি সম্মেলন

48

লিবিয়ার সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে জার্মানিতে বসছে গুরুত্বপূর্ণ এক শান্তি সম্মেলন। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা ম্যার্কেল এই সম্মেলনে অংশ নিতে তুরস্ক, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও অন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী রবিবার বার্লিনে দিনব্যাপী এই সম্মেলন লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মধ্যে একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হবে। গত নয় মাস ধরে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ও হাফতার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার স্বাক্ষর করলে এতে স্বাক্ষর করেননি হাফতার। মস্কোর ওই খসড়া চুক্তিতে অনেক দাবি মানা হয়নি বলে দাবি করেন হাফতার। এমন প্রেক্ষাপটে বার্লিনের সম্মেলন ঘিরে উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে জার্মান সরকার। বার্লিন বলছে কেবল একটি মাত্র বৈঠকে লিবিয়ার সংকটের সমাধান হবে না কিন্তু জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি রাজনৈতিক সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট বলেছেন, লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সারাজ ও বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতার উভয়েই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিনও বার্লিনের সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্টে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। বার্লিন সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। এছাড়া খলিফা হাফতারের অন্যতম সমর্থক দেশ মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ টেবাউন ও কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ডেনিস সাসু নুগুয়েসুও বার্লিন সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণন পেয়েছেন।