লিবিয়াতেই দাফন ২৬ বাংলাদেশির

33

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে জিম্মি দশায় নিহত ২৬ বাংলাদেশিকে সে দেশেই দাফন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর বাংলানিউজের
তিনি জানান এর আগে ঘটনাস্থল মিজদার একটি হাসপাতালে বর্তমানে লাশগুলো রাখা হয়।
‘মিজদা খুবই ছোট একটি অনুন্নত শহর, সেখানে লাশগুলো সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই।’
এছাড়া যুদ্ধকবলিত এলাকা হওয়ায় এবং লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদা শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থাও বেশ খারাপ বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।
আর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরনের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘এসব কারণে লাশ হস্তান্তর করার বা লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ ছিল না। তাই আমরা লাশগুলো দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তাদের পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি লিবিয়ার মিজদা শহরে মানবপাচার জিম্মি ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দেশটির রাজধানী ত্রিপোলি থেকে মিজদার দূরত্ব অনেক। এছাড়া গৃহযুদ্ধ কবলিত লিবিয়া থেকে নিহতদের লাশ বাংলাদেশে নেওয়ার মতো বাস্তবতা নেই। ফলে তাদের মরদেহ লিবিয়াতেই দাফন করা হয়েছে।
একই ঘটনায় আহত ১১ বাংলাদেশির প্রসঙ্গে দূতাবাসের কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম জানান, আহত বাংলাদেশিদের বর্তমানে ত্রিপোলির হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরো ১১ জন বাংলাদেশি।
তারা সবাই অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
অবৈধভাবে লিবিয়ার বেনগাজি বন্দরে পৌঁছে কয়েকমাস গোপনে ছিলেন এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।
এরপর ২৮শে মে সকালে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যায় বলে জানায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।