লামায় ১৮ মার্চ থেকে ৩৬ হাজার শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা

130

আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ মাস থেকে শুরু করে ১০ বছরের কমবয়সী প্রায় ৩৬ হাজার শিশুকে নির্ধারিত সময়ে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে হাম-রুবেলার টিকা প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষে ‘আয় আয় সোনা মনি, টিকা নিয়ে যা’-এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে ‘হাম-রুবেলা’ টিকাদান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাম-রুবেলা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষে রবিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ডা. উইলিয়াম লূসাই মেমোরিয়াল হলরুমে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমীরণ বড়–য়ার সঞ্চালনায় এতে ডা. মনিরুজ্জামান, লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম, থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, হাম ভাইরাস জনিত মারাত্মক একটি সংক্রামক রোগ। আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ অতি দ্রæত ছড়ায়। যে কোনো বয়সে হাম হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ, জটিলতা ও মৃত্যু বেশি দেখা যায়। জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধির অন্যতম। সবাইকে এই ক্যাম্পেইন সফল করতে সকল শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে অসুস্থ শিশুকে এই টিকা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) রুপন চৌধুরী বলেন, উপজেরার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার ৯৩২জন শিশুকে একযোগে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করা হবে। হাম-রুবেলার ক্যাম্পেইন ১ম সপ্তাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচী পালন করা হবে। যেসব শিশু ইতোমধ্যে হাম-রুবেলার টিকা নিয়েছে, তারা পুনরায় এ টিকা নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা যদি কোন কারণে নির্ধারিত তারিখে স্কুলে টিকা নিতে না পারে তবে নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন। Ñলামা প্রতিনিধি