লামায় ঘরে ঢুকে গুলি করে একজনকে হত্যা ‘

28

লামা প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হলেন মংক্যচিং মার্মা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। গত সোমবার রাত ১টার দিকে উপজেলার রুপসীপাড়ার অংহ্লাপাড়াস্থ এ ঘটনা ঘটে। মংক্যচিং মার্মা রাঙামাটি জেলার রাজস্থলীর বাঙালখালীর মৃত মংছুরি মার্মার ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। সূত্র জানায়, মংক্যচিং মার্মা সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুপসীপাড়ার অংহ্লাপাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে আসেন। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত ১টার দিকে ৫-৬ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
মংক্যচিং মার্মার স্ত্রী ¤্রাবোচিং মার্মা (৩০) জানান, গত শনিবার তিনি বাবার বাড়ি আসেন। স্বামী মংক্যচিং মার্মা সোমবার রাত ৭টার দিকে আসেন। রাত ১টার দিকে ৬ জন পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে গুলির পর মৃত্যু নিশ্চিত করে। সন্ত্রাসীরা গুলি করার সময় মংক্যচিং মার্মাকে বলে, ‘আমাদের টাকা না দিয়ে কেন চলে এসেছিস।’ পরে ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়দের ধারণা, মংক্যচিং মার্মা রাঙামাটির রাজস্থলীর বাঙ্গালখালী এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রæপ এমএলপি’র সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চাঁদার টাকার ভাগ নিয়ে এ ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা। মংক্যচিং মার্মার শ্যালক অংসিং মার্মা জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে অস্ত্রধারীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে। ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মংক্যচিংকে গুলি করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তিন রাউন্ড গুলি করে ও কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কে বা কারা কী কারণে মংক্যচিংকে হত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি খুনীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।