লামায় আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১

97

লামায় মো. আলমগীর সিকদার (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাতে সরই ইউনিয়নের আমির হামজা পাড়াস্থ নিজ খামার বাড়ির পাশে তাকে হত্যা করা হয়। আলমগীর সিকদার সরই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ও জড়িত সন্দেহে এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। তবে আটক যুবকের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করেনি পুলিশ।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাইফ শামীম, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার, সহকারী পুলিশ সুপার আলী হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যন মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সরই ইউনিয়নের আমির হামজা পাড়াস্থ খামার বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলমগীর সিকদার মোটর সাইকেল যোগে লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলাস্থ নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কিছুদূর যেতেই রাতের অন্ধকারে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে তাদের দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই আলমগীর সিকদারের মৃত্যু হয়।
সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইদ্রিস কোম্পানি জানান, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘাটিয়েছে। এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
সরই ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কাসেম আলী বলেন, হত্যাকাÐটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে কেউ হয়তো তাকে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।