লাইসেন্স পেল ইস্ট ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন

60

চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের আওতাধীন ইস্ট ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন। সোমবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহানের হাতে এ লাইসেন্স তুলে দেন।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বুড়িগঙ্গা নদী সংলগ্ন ১০২ দশমিক ৭০ একর এলাকাজুড়ে ইস্ট ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপ। জোনটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩২ কিলোমিটার। যা ঢাকা মহানগর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রস্তাবিত ইকোনমিজ জোনে ফুড প্রোসেসিং, এলপিজি সিলিন্ডার, এডিবল ওয়েল, বিটুমিন, প্যাকেজিংভিত্তিক শিল্প স্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, প্রসেসিং এলাকা ৫৮ দশমিক ৩০ শতাংশ রাস্তা, ইউটিলিটি এবং সবুজ এলাকাসহ নন-প্রসেসিং এলাকা ৪০ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাণিজ্যি এলাকা দেখানো হয়েছে। এ জোনে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সফল বাস্তবায়ন হলে এখানে ২০ হাজার লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে ৫০ হাজার লোকের।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, দেশের স্বনামধন্য গ্রুপ বসুন্ধরাকে সহযোগী হিসেবে পেয়ে আমরা খুশি। এতে আমাদের যেমন দায়িত্ব বেড়ে গেল, তেমনি বসুন্ধরারও দায়িত্ব বাড়লো। তবে দায়িত্ব যেন চাপে পরিণত না হয়। ইকোনমিক জোনগুলোতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে ইউনিট ইনভেস্টরদের জন্য পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিতের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোনের মাধ্যমে আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। আমরা শৃঙ্খলার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাই। এখানে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ এলে আমরা স্বাগত জানাবো। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপে এখন ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান আছে। ইকোনমিক জোন উৎপাদনে এলে দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।