ললিতা আলু যাচ্ছে মিয়ানমার

46

 

দুই বছর ধরে মিয়ানমারে রপ্তানি পণ্যের শীর্ষে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও কুমিল্লায় উৎপাদিত ললিতা আলু। রপ্তানি হয় কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে। তিনটি কারণে মিয়ানমারে বাংলাদেশি ললিতা আলুর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। প্রথমত বাংলাদেশি ললিতা আলু দামে সস্তা। দ্বিতীয়ত রাখাইন রাজ্যে আলু চাষের যে জায়গা ছিল, তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যারাক স্থাপন করায় উৎপাদন কমে গেছে। তৃতীয়ত রাখাইন রাজ্যে কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অল্প দামি পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারে ললিতা আলু রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন, যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়েছিল সোয়া ৭ টাকা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে মিয়ানমারে রপ্তানি হয়েছে ১১৯ মেট্রিক টন আলু। যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা। বন্দরে পৌঁছাতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ে ১৮ টাকার বেশি। টেকনাফের আলু ব্যবসায়ীরা জানান, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির ও কক্সবাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁয় ললিতা আলুর ব্যবহার বেশি হলেও স্থানীয় লোকজন দেশি আলু খেতে অভ্যস্ত। দাম কম হওয়ায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাসহ বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশি ললিতা আলুর দিকে ঝুঁকেছিলেন।