লকডাউন বাড়ছে আরও ৭ দিন

30

চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ ছিল লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ালে বর্তমান চেইনটা ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে এবং সংক্রমণ নিম্নগামী হবে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে ২২-২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়িয়ে সার সংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি সই করার পরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। রবিবার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।
লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিটি। এছাড়া কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্তস্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
বলবৎ থাকবে চলমান শর্ত : চলমান শর্ত বলবৎ থাকবে ২২ তারিখ সকাল ৬টা থেকে থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী লকডাউনে। গতকাল সোমবার তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেছেন। তিনি বলেন, চলমান শর্তে ২২ তারিখ ফের ৭ দিনের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ তারিখ রাত ১২টায়। ২২ তারিখ ভোর ৬টা থেকে আবারও ৭ দিনের লকডাউন শুরু হবে।
ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত সাত দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেটি শেষ হোক এরপর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা পরের বিষয়। এর আগে সকালে মন্ত্রিপরিষদ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের জুম মিটিংয়ে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুম মিটিংয়ে উপস্থি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহেমদ কায়কাউস, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র সচিব (জননিরাত্তা বিভাগ) মোস্তাফা কামাল উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন সভায়।