লকডাউনের পেরেশানি ভুলছে দোকানদার

27

নিজস্ব প্রতিবেদক

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে আজ। প্রতিটি পূজামন্ডপ সেজেছে নতুন সাজে। উৎসবের রঙ লেগেছে প্রতিটি ঘরে। তাই নগরীর মার্কেটগুলোতে চলছে এখন জমজমাট পূজাকেন্দ্রিক কেনাকাটা। পূজার আবহে বাহারি ডিজাইনের পোশাক কিনতে মার্কেটগুলোতে ভিড় করেছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবারের পূজায় শাড়ি ও পাঞ্জাবিতেই আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পূজা উপলক্ষে কাপড়ের মার্কেট ও শো-রুমগুলোতে মেয়েদের জন্য থ্রী-পিস, জামদানি শাড়ি, কাতান শাড়ি, তাঁত শাড়ি, বেনারশি শাড়ি, লেহেঙ্গার কদর বেশি। ছেলেদের জন্য বাহারি ডিজাইনের শর্ট পাঞ্জাবী, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি মিলছে। জুতাতেও আগ্রহ আছে ক্রেতাদের। ক্রেতার উপস্থিতি বেশি বিপনিবিতান (নিউমার্কেট), টেরি বাজার ও জহুর হকার মার্কেটে। এর বাইরে গিয়ে দেওয়ানজি পুকুর পাড়ের অর্ণব ও হাজারীগলির দর্পণে পূজার কেনাকাটায় ক্রেতার ভিড় বেশি। টেরিবাজারে মাসুম ক্লথ স্টোর, জাবেদ ক্লথ স্টোর, মনে রেখো, নবারুন ট্রেডার্স, বধুয়া শপিং সেন্টার, মেগামার্ট, শাড়ি কালেকশন, আল্পনা প্লাস, চট্টলা বস্ত্রালয়, রূপন্তী, বড় বাজার, মাতৃভান্ডার, উর্মি বস্ত্রালয়, লক্ষীভান্ডার, শ্রীভান্ডার, মোহনা নামে দোকানগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
টেরিবাজারে যাওয়া ক্রেতা প্রিয়াংকা চৌধুরী বলেন, পূজায় শাড়ি মানেই লাল পাড়ে সাদা শাড়ি। এ শাড়ি পড়বো দশমীর দিন। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত পড়ার জন্য আরো তিনটি শাড়ি কিনেছি। নিজে কেনার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকেও উপহার পেয়েছি। আমার মা-বাবা, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনের জন্য শাড়ি ও শার্ট কিনেছি।
নিউমার্কেট শৈল্পিকের ব্যবস্থাপক মো. বাদশা পূর্বদেশকে বলেন, ‘এবার পূজোয় ভালো ব্যবসা হচ্ছে। গতবার লকডাউনের কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার আশা করি টার্গেট পূর্ণ হবে। লকডাউনের পর আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর যে প্রচেষ্টা এতে সফল হবো। পূজোতে আরো দুইদিন ব্যবসা করতে পারবো। ক্রেতার উপস্থিতিও ভালো আছে’।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পূর্বদেশকে বলেন, পূজার ব্যবসা গতবারের চেয়ে এবার ভালো হচ্ছে। তবুও আশানুরূপ হচ্ছে না। গরমও পড়ছে। করোনার কারণে ক্রেতাদের হাতে টাকা-পয়সাও নেই। সুবিধাজনক সময়ে অনেক ক্রেতা কলকাতায় গিয়ে বাজার করতো। এবার যেহেতু বর্ডার বন্ধ প্রচুর ক্রেতা এখানে বাজার করছে। সে হিসেবে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। ব্যবসায়ী ও দোকানের কর্মচারীদেরকে ক্রেতাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছি। পূজোর বেচাবিক্রির জন্য গত দুইসপ্তাহ ধরে টেরি বাজার বন্ধ ছিল না।