লকডাউনেও পাশে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা দাফন ও সৎকার টিম

12

 

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা দাফন ও সৎকার টিম। লকডাউনের এই সময়টাতে নিকটাত্মীয়ের মৃতদেহ যথাযোগ্য মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ, কোয়ান্টাম সেখানে কাজটা করছে বিনামূল্যে, পরম মমতায়। এক্ষেত্রে তাদের মটো ‘ মমতার পরশে শেষ বিদায়”। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে প্রায় চার হাজার মরদেহের শেষ বিদায়ে পাশে ছিল এ স্বেচ্ছাস্বেবী সংগঠনটি। গত ৩০ জুন করোনা সাসপেক্টেড হয়ে মারা যান সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ এর বাবা মোঃ হাবিবুর রহমান। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে হাজির হন কোয়ান্টামের কর্মীরা। এরপর লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া, গোসল করানো এরপর দাফনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সঠিক সময়ে নিপুনভাবে। বর্তমানে ‘প্রবাসী টেলিভিশন’ এর সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন ‘স্বেচ্ছাসেবকরা যেভাবে শেষকৃত্যের কাজটা করেছে আমি অভিুভুত, যথার্থই আমার বাবাকে মমতার পরশে শেষ বিদায় জানিয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশেন। কোয়ান্টামের কল্যাণেই এই লক ডাউনের মধ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রিয় পিতাকে সমাহিত করার স্বস্তি পেলাম।’ কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবক টিম গড়ে উঠেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবী, ইনিঞ্জনিয়ার, আইনজীবীসহ নানান পেশার, নানান বয়সী মানুষের সমন্বয়ে। নারীদের নিয়ে রয়েছে নারী টিম, ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের জন্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সৎকার টিম। রাত দিন যেকোন সময় সমন্বয়কের ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকেন তারা। বলা বাহুল্য কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা দাফন সেবা শুরু হয় ২০০৪ সালে রাজশাহীতে বেওয়ারিশ লাশ দাফন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। এখন তা বিস্তৃতি লাভ করেছে সারাদেশে আরো সুসংগঠিতরূপে। বিজ্ঞপ্তি