লংগদু-বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগে নির্মাণ হচ্ছে ব্রিজ সড়ক

16

এম. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি

জেলার দুর্গম প্রত্যন্ত লংগদু উপজেলার ২ংকালাপাকুর্জ্যা ইউনিয়নের উপর দিয়ে ও বাঘাইছড়ি উপজেলার মাহিল্যা হয়ে গাড়ি যাবে পর্যটন ভ্যালি সাজেকে। পাহাড় নদী বেয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে অসংখ্য ব্রিজ ও সড়ক। সরকারের দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে শুরু করছে। সরকার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে অচিরেই রাঙামাটি জেলা সদর হতে নানিয়ারচর দিয়ে লংগদু উপজেলার কালাপাকুর্জ্যা হয়ে মাহিল্যা দিয়ে সড়ক যোগে বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালি যেতে একদম সহজ হবে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে আরো ৬-৭ বছর লাগতে পারে।
বিভিন্ন সূত্রে মতেও লংগদু এলজিইডি সূত্রে জানাগেছে, লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ফরেষ্ট ঘাট হতে বিলের মধ্য দিয়ে কালাপাকুর্জ্যার রশিদপুরের উপর দিয়ে প্রায় ১কোটি ২৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তা একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশ হাসিনা। এতে প্রমান হলো পাহাড়ের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন লংগদু উপজেলাবাসীসহ পাহাড়ের মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, মাইনীমুখ বাজার সংলগ্ন গাঁথাছড়া হয়ে যে বিশাল ব্রিজটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়ণে করা হয়ে হয়েছে ওই ব্রিজটি দিয়ে গাঁথাছড়া হয়ে শুধু মাত্র একটি ব্রিজ করে কালাপাকুর্জ্যা ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রহমতপুরের উপর দিয়ে বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ অতি সহজ হতো। ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণে ব্যয় হতো একদম কম। এখন যে বিলের মধ্য দিয়ে ব্রিজ বা সড়ক নির্মাণ হচ্ছে তা আর করতে হতো না। দক্ষিণ রহমতপুরের স্থানীয় লোকজন আরো বলেন, ব্রিজ ও সড়ক হওয়ার কথা ছিল মাইনীমুখ গাঁথাছড়া দিয়ে দক্ষিণ রহমতপুর হয়ে সোজা বাঘাইছড়ি চলে যাবে। কিন্তু কি যেন অদৃশ্য শক্তির কারনে হঠাৎ করে শুনতে পেলাম পশ্চিমে রশিদপুর দিয়ে ব্যয় বহুল বাজেটে ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বঞ্চিত হলো দক্ষিণ রহমতপুরের ২হাজার লোকজন। এদিকে নানিয়ারচর চেঙ্গি ব্রিজ হতে ১৮মাইল ব্রিজ এবং লংগদুতে বেশ কিছু ব্রিজ নির্মাণ করা হলে সড়ক যোগাযোগ একধাপ এগিয়ে যাবে।সহজেই যাওয়া যাবে লংগদুও বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালিতে।এতে করে সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে।অন্য দিকে এ সড়ক যোগাযোগের উন্নতি হলে দুঃখ লাগাম হবে তিন উপজেলাবাসীর।নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি এই তিন উপজেলার মানুষ বছরে ৬মাস যোগাযোগ ক্ষেত্রে চরম কষ্ট করে জেলা সদরে আসতে হয়। যদি সড়ক যোগাযোগ পরিপূর্ন ভাবে চালু করা হয় হলে পরিত্রান পাবেন এই তিন উপজেলার মানুষ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ের অনেক বড় ব্রিজ নানিয়ারচর উপজেলার চেঙ্গি সেতু সম্প্রতি উদ্ধোধন করা হয়েছে। ব্রিজটি উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন লংগদু সড়ক পথে যেতে বাকি আছে কয়টি ব্রিজ। ওইসব ব্রিজ গুলো হয়ে গেছে,লংগদু হয়ে সড়ক যোগাযোগ চালু হবে বাঘাইছড়ির সাথে। পর্যাক্রমে জেলার সবকয়টি উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগে উন্নতি করা হবে। সরকার পাহড়ের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।