লংগদুর ৩ ইউনিয়নে নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থা

12

এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি

লংগদু উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। লংগদু উপজেলাধীন গোলশাখালী, বগাচত্বর ও ভাসান্যাদম ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে নাজুক! এই তিনটি ইউনিয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন একটি জনবহুল এলাকা। তিনটি ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধিকের বেশী জনসাধারণের বসবাস। তিন ইউনিয়নের সাথে চমৎকার সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু সড়ক আছে সম্পূর্ণ কাঁচা। রাস্তা আছে ব্রিজ ও কালভার্ট নাই। পায়ে হাটা কাঁচা রাস্তা দিয়ে শুধু মাত্র মোটরসাইকেল চলে। তিন ইউনিয়নের সাথে মোটরসাইকেল চলাচলের উপযোগি রাস্তা আছে। এসব রাস্তা-ঘাটের উন্নতি করা প্রয়োজন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। সাবেক মেম্বার মো. জমশেদ বলেন, রাস্তা ঘাটের যে পরিস্থিতি তা অত্যন্ত নাজুক। এই পরিস্থিতিতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এলাকার লোকজন মোটরসাইকেল দিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজগুলো সমাধান দিয়ে আসছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিন ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট এবং ব্রিজ কালভার্ট সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দাবি দিয়ে আসছি। গত ২ বছর আগে রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ব্যাপারে ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম এসেছিল। ওই টিম রাস্তা ঘাট দেখে গেছে কিন্তু এই পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনও বলছেন খুব শিগগরই রাস্তা ও ব্রিজের কাজ ধরা হবে। বগাচত্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বশর বলেন, এই এলাকার রাস্তা ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আমি যেহেতু নতুন চেয়ারম্যান তাই আমি জনস্বার্থে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ নেওয়ার চেষ্টা করবো। বগাচত্বর, ভাসান্যাদম ও গোলশাখালী ইউনিয়ন এই তিন ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে পাশা পাশি যোগাযোগের উন্নতি হবে। অপরদিকে এই তিন ইউনিয়নের জনগণের চাহিদা পুরনে মাইনীমূখ লঞ্চ ঘাট হতে জারুল বাগান পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হলে লংগদু পূর্ব ও দক্ষিণ এলাকার লোকজনের জীবনযাত্রার মান আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। উন্নত হবে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। গড়ে উঠবে সম্ভাবনাময় পর্যটক স্পট। মো. গোলামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের দুর্গম ও পদপাশ্চত্য তৃণমূলে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সে সুবাদে এসমস্ত এলাকায় ও উন্নয়ন হওয়ার কথা। আমি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের প্রতি দাবি জানাই উল্লেখিত এই তিন ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট সহ বিদ্যুৎ এর আওতায় আনা হউক। এর সাথে সাথে রাস্তা ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণের দাবি করছি। লংগদু উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী ড. জিয়াউল হক মজুমদার বলেন, ওই তিন ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট ইতোমধ্যে সার্ভে করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রকল্প ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কেন দেরি করছে তা আমার জানা নেই। তবে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হয়তো বা আগামী অর্থবছরে কাজ চালু হতে পারে।