লংগদুতে পেঁপে চাষে স্বাবলম্বী

90

 

জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাংগিপাড়া এলাকায় পেঁপে বাগান চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন হেলাল মাস্টার নামের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতা হলো তার চাকুরি জীবনে পেশা আর বাগান করা হলো তার একমাত্র নেশা। শিক্ষকতা বজায় রেখে তিনি একজন আদর্শ পেঁপে চাষী হতে চান। সে দেশের কৃষকদের উৎসাহিত করে বেকারত্ব জীবন থেকে রক্ষা পেতে কৃষি কাজে ধাবিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সূত্রে জানা যায়, হেলাল উদ্দিন মাস্টার পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি পেঁপে বাগানে সময় কাটান। তার চিন্তা চেতনা হলো পেঁপে বাগান করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন, অপরদিকে জেলায় সবজির চাহিদা মিটাবেন। এই উদ্দেশ্য নিয়েই পেঁপে বাগানের যাত্রা শুরু করেন এই শিক্ষক। প্রচুর পরিশ্রমি একজন ব্যক্তি হলেন হেলাল মাষ্টার। তিনি দিনকে দিন বলেল না রাতকে রাত বলেন না। তার কাছে দিন রাত ২৪ ঘন্টারই সমান। কঠোর পরিশ্রম করে আজ এই পেঁপে বাগান এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। তার সাধনা অপরিসীম। তিনি প্রতি বছর হেলাল মাস্টার পেঁপে উৎপাদন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। তিনি লংগদু উপজেলার গাথেরছড়া গাউছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। গাথের ছড়া গাউছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও পেঁপে বাগান মালিক মো. হেলাল মাস্টার বলেন, স্যোসাল মিডিয়া থেকে দেখে দেখে আমি প্রথমে আমার বাসা বাড়ির আশ পাশে পরীক্ষামূলক ভাবে ১শ পেঁপে চারারোপণ করি। পরে আমার নিজস্ব ১ একর জমিতে পেঁপে বাগান শুরু করি। কিভাবে শুরু করলাম, এক একর জমিতে ১ হাত পরিমাণ গর্ত করে সে গর্তে জৈব সার শুকনা গোরব দিয়ে প্রায় ১ সপ্তাহ রেখে দেই। এক সপ্তাহ পরে পেঁপে চারারোপণ করি। গত ৬-৭ মাস আগে পেঁপে চারারোপণ করি বর্তমানে পেঁপে পাকতে শুরু করেছে। সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে হেলাল বলেন, পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি ফলপ্রসু আবাদ যে কেউ চাইলে এ চাষ করতে পারে। আমার পেঁপের ফলন ভাল হয়েছে। তাই আমি অনেক খুশি। খরচ বাদ দিয়ে এই এক একর জমিতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করা সমম্ভ বলে মনে করে হেলাল মাস্টার। আসুন সবাই কৃষি কাজে উন্নত হই। দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে গতিশীল করি। লংগদু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন,সরকার কৃষির উপর অত্যন্ত গুরুত্বরোপ করেছেন। সে সুবাদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। সম্প্রতি কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির ব্রিজ ও হাইব্রিড ধান কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছেন। লংগদু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সহায়তায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।