লংগদুতে খাস জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা

17

ওমর ফারুক, লংগদু

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের ৩৮৬ নং মৌজার খাস জায়গা দখলে নিয়ে তাতে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাসের হিড়িক পড়েছে।
গত মঙ্গলবার গুলশাখালীর ৩৮৬ নং মৌজার রাজনগর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কমপক্ষে ৩০টি পরিবার মৌজার খাস জায়গা বেদখল করে সেখানে বসতি গড়ে তুলেছেন। সে সাথে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন পরিবার। এসব বেদখলের ব্যাপারে মৌজার হেডম্যানের যোগসাজস রয়েছে বলে এলাকার সচেতন মানুষের অভিযোগ।
গুলশাখালীর ৩৮৬ নং মৌজার হেডম্যান মো. আব্দুল হালিম বলেন, আমার মৌজায় মোট ৩ হাজার ৩৩ একর জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে ১৫শত ৭৫ একর জমির রেকর্ড পত্র আছে। বাকি ১৪ শত ৭৬ একর জমি খাস রয়েছে। এসব খাস জায়গা বেদখল করে তাতে নতুন নতুন বসতি ঘড়ে উঠছে। রাজনগর এলাকায় সর্বশেষ খাস জায়গায় বসতি স্থাপন করেছেন তাদের মধ্যে মোছাঃ রুবিনা আক্তার স্বামী-মো. নিজাম উদ্দিন, রাশিদা বেগম স্বামী আব্দুল মালেক, মর্জিনা আক্তার স্বামী মো. কালাম মিয়া, ময়না বেগম স্বামী-আয়ুব আলী, নিজাম উদ্দিন পিতা-আব্দুর রহীম, জান্নাতুল ফেরদৌস কলি (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা) স্বামী-মোঃ লুৎফর রহমান, আব্দুল মালেক পিতা-আব্দুল হাই সহ আরো অনেকে।
তবে উল্লেখিত বসবাসকারীরা জানান, তারা বিগত ত্রিশ বছর ধরে রাজনগর এলাকায় বসবাস করছেন। কেউ কেউ অন্যের কাছ থেকে দখলস্বত্ব ক্রয়মূলে বসবাস করে আসছেন। তারা জানায় হেডম্যানের প্রতিবেদন নিয়ে সকলেই ভূমি বন্দোবস্তি পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে রেখেছেন। এসব এলাকায় যত্রতত্র খাসজমি দখল করে বসতি স্থাপনের ফলে পাহাড়ে বন্যহাতি উপদ্রপও বাড়ছে। একারণে লোকজন ক্ষতিগ্রস্থও হচ্ছে বলে সচেতন মহল জানায়।