রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় পাশে থাকবে তুরস্ক

15

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু। সফররত তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ একা নয়। বাংলাদেশ তুরস্ককে পাশে পাবে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে অগ্নিকান্ডে ২০২১ সালে পুড়ে যাওয়া তার্কিশ সরকারি সংস্থা আফাদ পরিচালিত ৫০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বক্তব্য রাখেন। পরে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই এলাকায় অগ্নিকান্ডে আশ্রয়হারা রোহিঙ্গাদের জন্যে নির্মাণাধীন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু রোহিঙ্গা যুবকদের সঙ্গে কিছু সময় খেলায় মেতে উঠেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে এ সময় কথা বলেন তিনি।
পরে তিনি ১৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম এবং তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন পরিচালিত রোহিঙ্গাদের সাবান তৈরির কারখানা ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইসমাইল ছাতাকলু, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার খালিল বল দামির, তুরস্কের দুথজন সংসদ সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এর আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লুর নেতৃত্বে ২০ সদস্যয়ের প্রতিনিধি দল শনিবার সকাল ৮টায় বিশেষ বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সরাসরি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সড়কপথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে যান। সেখানে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিদর্শন করেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু প্রতিনিধি দল নিয়ে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।