রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৭০ জন আরসা সদস্যসহ ২২১ জন গ্রেপ্তার

13

উখিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় গত মার্চ মাসে অভিযান পরিচালনা করে ৭০ জন আরসা সদস্যসহ মোট ২২১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। একমাসে বিভিন্ন ঘটনায় মোট ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় মোট ৬৭,৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া গত মার্চ মাসে বিপুল মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে একটি মাসিক তথ্য প্রকাশ করেছে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র মামলা হয়েছে ১টি। অস্ত্র মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাকাতি প্রস্তুতিতে বিশেষ আইনে মামলা হয়েছে ১টি। এই মামলায় বিশেষ আইনে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত একজন আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে এপিবিএন। মার্চে বিশেষ আইনে ওরিস সিগারেট ৫২০ প্যাকেট, বেনসন সিগারেট ৮৬০ প্যাকেট ও মুন্ড সিগারেট ২০ প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে ৮০,১৬৭ পিস। এছাড়া বিয়ার ৭২ ক্যান ও ১২ বোতল হুইস্কি উদ্ধার করা হয়েছে। গাঁজা ২ কেজি ৮০০ গ্রাম ও ১ পুড়িয়া উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭৫০ মি. ডল.। এ মাদক সংক্রান্তে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৩৫টি। মাদক মামলায় আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৬ জন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৯৬টি। মোবাইল কোর্টে আসামি করা হয়েছে ৯৬ জনকে। জরিমানা করা হয়েছে ৬৭,৪০০ টাকা। এ সংক্রান্তে সাজা হিসেবে ১৭ জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৩১ জনকে মৌখিক সতর্ক প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কালোবাজারি ও মজুদদারি দ্রব্য উদ্ধার অভিযানে ২৪০০ কেজি চাল, চিনি ১৫০ কেজি, ৫০১ লিটার সয়াবিন তৈল, ৩৫০ পিস সাবান, ৬৬ কেজি সুজি, ১০ কেজি মুসুরি ডাল, ৮০০ কেজি বার্মিজ আচার ও বাদাম, পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়েছে। মার্চে ধর্ষণ মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে। মারামারি মামলা হয়েছে ১টি। মারামারি মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপহরণ মামলায় ভিকটিম ৪ জন উদ্ধার করা হয়েছে।
১৪ এপিবিএন আরও জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে উখিয়া থানার বিভিন্ন মামলায় সন্দিগ্ধ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাহপুরী হাইওয়ে থানায় ৫১টি সিএনজি ও অটোরিক্সাসহ ৫১ জন চালক আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উদ্ধার অভিযানে ৩ বস্তা সুপারি, ১টি ভ্যান গাড়ি, ১টি প্রেশার মাপার যন্ত্র, ১টি টেলিস্কোপ, ১টি থার্মোমিটার, ১টি ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র, ৭টি সিরিঞ্জ, ২টি ল্যাপটপ, ১টি মাউস, ২টি মাউস প্যাড, ১টি ট্রান্সসেন্ডের হার্ড ডিস্ক, ১টি পাওয়ার ইনভারটার ও ১টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি উদ্ধার করার তথ্য জানিয়েছে এপিবিএন।
১৪ এপিবিএন-এর তথ্যমতে, মার্চে তারা রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ২১৭৬টি পরিবারের সর্বমোট ৬৫৪৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তরে সহায়তা করেছে।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইম নিপু এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান সার্বক্ষণিক অব্যাহত থাকবে।’