রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুদ হচ্ছে কোটি কোটি ইয়াবা

13

উখিয়া প্রতিনিধি
সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইয়াবা সিন্ডিকেট। কৌশলে মিয়ানমার থেকে ঢুকে পড়ছে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা। আর এসব ইয়াবার চালান বালুখালী ক্যাম্প ৮ ওয়েস্ট মজুদ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, বালুখালী ক্যাম্প ৮ ওয়েস্টের সাথে মিয়ানমার সীমান্তের দূরত্ব কাছাকাছি হওয়ায় পায়ে হেঁটে ১০ মিনিটের মধ্যে সীমান্তের কাঁটাতার অতিক্রম করে ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে। আর ক্যাম্প ৮ ইস্টের যারা আশ্রিত রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এই ক্যাম্পে অবস্থান করছেন আরসার শীর্ষ নেতা আতাউল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু আনাচ (৩৫) প্রকাশ ফয়েজুল করিব, মোঃ ইউনুছ(৪০), মৌলভী আইয়ুব(৩০) শাহানা মিয়া(৩২)। মিয়ানমারে তার রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। সেই সুবাধে ঢেকিবনিয়ার এলাকার শীর্ষ ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচারকারী সিন্ডিকেটের প্রধান টুনটুন মার্মা, লামং মার্মা এবং মমংশুয়ে মার্মার মাধ্যমে জলপাইতলী এবং পুটিবনিয়া দিয়ে বালুখালী এলাকার হাজী আব্দুল মজিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ইয়াবার চালানগুলো বালুখালী ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টের, ৩২ নং বি-বøকের বাসিন্দা মোঃ ছিদ্দিকের ছেলে হেড মাঝি মোঃ শফি উল্লাহ (৩০), একই ক্যাম্পের করিম উল্লাহর ছেলে মাঝি আনোয়ার ইসলাম (৩৬), মাঝি সোনা আলী (৪৫) নিয়ে এসে মজুদ করে রাখেন। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে।
যার ধারাবাহিকতায় গত সোমবার উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের রেজু আমতলী সংলগ্ন গোলডেবার পাহাড় দিয়ে এপারে ঢুকে পড়ার সময় বিজিবি’র সদস্য অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ষ পৃষ্ঠা ২, কলাম ৭.
ষ শেষ পৃষ্ঠার পর
ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ সময় মাদক কারবারি সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে বিজিবি সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেজুআমতলী বিওপির একটি টহল দল কৌশলগত অবস্থান নিয়ে সীমান্ত এলাকায় ফাঁদ পেতে থাকে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এমতাবস্থায় বিজিবি টহলদল চোরাকারীরদের লক্ষ্য করে ১রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা ব্যাগ মাটিতে ফেলে দ্রুত পাহাড়ি গহীন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা (যার আনুমানিক ম্ল্যূ ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয় বলে জানান ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর অন্তত একশো বারের উপরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে আবু আনাচ প্রকাশ ফয়েজুল করিমকে গ্রেপ্তার করার জন্য, কিন্তু সম্ভব হয়নি। এখনো তার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে, কারণ সে সীমান্তের ইয়াবা পাচারের মূল হোতা। তিনি আরো বলেন, হেড মাঝি শফিকসহ বাকী যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।