রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো আগুন পুড়েছে ৪০০ ঘর, ১ শিশুর মৃত্যু

15

উখিয়ার কুতুপালং ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকান্ডে ৪০০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আগুনে দগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৫নং ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, আগুন লাগার পর প্রথমে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে কক্সবাজার থেকে আরও দুইটি ইউনিটকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প ৫ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম (৫৫) বলেন, বিকালে হঠাৎ অগ্নিকাÐে ৪ শতাধিক ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। ক্যাম্পে বারবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রমিজ খাতুন নামের এক রোহিঙ্গা নারী জানায়, তার যে সমস্ত সহায় সম্বল ছিল সব পুড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫নং ক্যাম্পে এই আগুনে ৪০০ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে, এতে ২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক শিশু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন ও পুলিশসহ স্থানীয়রা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শিশু দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। তবে মারা যাওয়া শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ৪০০টি ঘর আগুনে পুড়ে গেছে।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামের একটি ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুনে প্রায় ৬০০টি ঘর পুড়ে যাওয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় হারায়। এর আগে, ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালের জেনারেটর থেকেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুনে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে লাগা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়েছিল।