রোববার খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

সারা দেশে তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশ অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির একদিন, শনিবারও ক্লাস চালু থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ঘোষিত ছুটি শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো। আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। খবর বিডি ও বাংলা ট্রিবিউনের।
প্রজ্ঞাপনে বলা জানানো হয়, শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশ শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং যেসব কার্যক্রমে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে স্কুল কলেজ খোলার কথা ছিল গত ২১ এপ্রিল। কিন্তু এপ্রিলের শুরু থেকে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে কয়েক জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
ইতোমধ্যে চার দিন পেরিয়ে গেলেও গরমের দাপট কমেনি। বরং গতকালের বুলেটিনে আরো তিন দিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবারও বাগেরহাটের মোংলায় দেশের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করছেন। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফও গরমে শিশুদের ‘অতি উচ্চ ঝুঁকির’ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহŸান জানায়।
এ অবস্থায় স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়বে কি না, সেই আলোচনা চলছিল গত দুদিন ধরে। আবার কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যেই অনলাইনে ক্লাস শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল। তার মধ্যেই গতকাল বিকালে ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এল।