রোজা কবে শুরু জানা যাবে আজ

16

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশে রোজা কবে শুরু হবে, কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি, তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়। ওই সময় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। হিজরি ১৪৪৪ সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে আজ বাদ মাগরিব জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সৌদি আরবে রোজা শুরু কাল : এদিকে সৌদি আরবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে দেশটিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গাল্ফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের তামির অবজারভেটরি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখতে পায়নি। খালি চোখেও দেশটির কোথাও চাঁদ খবর পায়নি চাঁদ দেখা কমিটি। ফলে বুধবার (আজ) শাবান মাসের ৩০ তারিখ বলে গণ্য হবে। তাই বৃহস্পতিবার থেকে রোজা পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রমজান মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরবে আজ রাতে তারাবির নামাজ শুরু হবে।
সৌদি আরবের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ জর্ডান, ফিলিস্তিন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস।
উল্লেখ্য, হিজরি সনের রমজানকে মাসকে পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য করে থাকে বিশ্বের মুসলিম স¤প্রদায়। মাসজুড়ে রোজা রাখার পর উদযাপন করে ঈদুল ফিতর। সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর থেকে বাংলাদেশে পবিত্র রমজান শুরু হয়।

একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহবান : পবিত্র রমজান মাসে সারা দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে খতমে তারাবি পড়ার আহবান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।
এমতাবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতমে তারাবীহ্ নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সকল মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।