রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ডুয়েল গেজ লাইন চালু

88

বহুল প্রতিক্ষিত লাকসাম-লালমাই সেকশনে নবনির্মিত ডুয়েল গেজ লাইনের ট্রায়াল রান দেওয়া হয়েছে। লাইট লোকোমোটিভ-২৭১২ ও ম্যাক্সের গ্যাংকার দিয়ে এই ট্রায়াল চালানো হয়। লাকসাম থেকে লালমাই এখন সম্পূর্ণভাবে ট্রেন চলাচলের উপযোগী বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী। একই সঙ্গে পুরাতন লাইনের সংস্কার ও ডুয়েল গেজে রূপান্তরের কাজ শুরু হচ্ছে খুব শিগগির। ফলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এ ডুয়েল গেজ লাইন চালুকে রেলের নবদিগন্তে প্রবেশ হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, এই লাইন চালুর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম সিলেট রুটে ট্রেনের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি কমে আসবে গন্তব্যে পৌঁছার সময়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলের পূর্বাঞ্চলে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। পরে প্রকল্পটি সংশোধন করে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের পাশাপাশি ডুয়েল গেজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩২০ কিলোমিটার বিদ্যমান মিটারগেজ রেলপথের পুরোটাই ডুয়েল গেজে
রূপান্তর করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং অপরটি বিদ্যমান মিটার গেজকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হয়।
আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার দূরত্বের পাশাপাশি যে দুটো রেললাইন নির্মাণ করা হয় তার মোট দৈর্ঘ্য ১৪৪ কিলোমিটার। এছাড়া লুপ ও সাইডিংস লাইনের জন্য আরো ৪০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন তৈরি করা হয়। সবমিলয়ে মোট ১৮৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ডুয়েল গেজ লাইন নির্মিত হয়। খবর বাংলানিউজের
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী বলেন, গত শনিবার ও রোববার লাকসাম-লালমাই ডুয়েল গেজ লাইনে ট্রায়াল রান দেওয়া হয়েছে। লাকসাম থেকে লালমাই এখন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী। আরও কিছু কাজ বাকি আছে, সেগুলো শিগগিরই সম্পন্ন হবে।