‘রেংমিটচা’ ভাষা রক্ষার উদ্যোগ সেনাবাহিনীর

6

বান্দরবান প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিলুপ্তপ্রায় ‘রেংমিটচা’ ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাহাড়ে শিক্ষার উন্নয়ন সেই সাথে রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় বান্দরবানের আলীকদমের দূর্গম ক্রাংসিপাড়ায় একটি স্কুল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় পড়ানোর পাশাপাশি রেংমিটচা ভাষারও চর্চা হবে। এছাড়াও পাড়াবাসীর জন্য ওয়ালটনের উদ্যোগে পানির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় শিক্ষাসামগ্রীও।
জানা গেছে, ওই স্কুলটিতে এখন ৪০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। রয়েছেন চারজন শিক্ষকও। এবার একুশে ফেব্রæয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবসে পাহাড়ের বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এটি নজরে আসে সেনাবাহিনীর। আর এরপরই বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষাটি রক্ষায় এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে দূর্গম ক্রাংসি পাড়ায় রেংমিটচা জাতির বসবাস। বর্তমানে এই জনগোষ্ঠীর মাত্র সাতজন এ ভাষায় কথা বলে। এদের সবারই বয়স ৬০ বছরের উপরে। এদের মৃত্যু হলে এ ভাষাটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের। পাহাড়ের ম্রো সম্প্রদায়ের সাথে সংস্কৃতি ও বৈচিত্রে রেংমিটচাদের মিল থাকায় তাদের ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে তথ্য উঠে আসে। ভাষাটি রক্ষায় এখন সেখানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে করে বিলুপ্তপ্রায় এই ভাষাটি রক্ষা পাবে বলে আশা স্থানীয়দের। গত রবিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাগত রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, আলীকদম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল শওকাতুল মোনায়েমনহ জনপ্রতিনিধি, পুলিশসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, সেনাবাহিনী পাহাড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকে। এর অংশ হিসেবে দূর্গম এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিলুপ্তপ্রায় একটি ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।