রাস্তা পেরুনোর সময় দ্রুতযানের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৫ ভাইয়ের

45

ইকবাল ফারুক, চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কর্ম শেষে সড়ক পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে তরকারি বোঝাই দ্রুতগামী একটি পিকআপের ধাক্কায় নিহত হন ৫ সহোদর। এ দুর্ঘটনায় তাদের পরিবারের আরও তিন সদস্য আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট স্টেশন সংলগ্ন নার্সারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ছগীরশাহ কাটা গ্রামের মৃত ডা. সুরোজ সুশীলের ছেলে ডা. অনুপম সুশীল (৪৭), নরুপম সুশীল (৪৫), দীপক সুশীল (৪০), চম্পক সুশীল (৩৫) ও স্মরণ সুশীল (৩২)। তাদের মধ্যে স্মরণ সুশীল গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়া গুরুতর আহত রক্তিম সুশীল ও প্লাবন সুশীলকে চমেক হাসপাতাল ও বোন হীরা সুশীলকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন জানান, নিহতদের পিতা সুরোজ সুশীল ১০ দিন আগে মারা যান। মঙ্গলবার তার ৯ সন্তান পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কর্ম শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ভোর ৫টার দিকে তারা মালুমঘাট স্টেশন সংলগ্ন নার্সারি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কক্সবাজারমুখি তরকারি বোঝাই একটি দ্রুতগামী পিকআপ তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে সড়কের উপর ছিটকে পড়েন ৫ সহোদরসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এছাড়া আহত রক্তিম সুশীল, প্লাবন সুশীল ও স্মরণ সুশীলকে চমেক হাসপাতাল ও হীরা সুশীলকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে স্মরণ সুশীল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ভোরে মালুমঘাট স্টেশন সংলগ্ন নার্সারি এলাকায় কক্সবাজারমুখি পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান চার সহোদর। এছাড়া তাদের পরিবারের আরও চার সদস্য আহত হন। পরে বিকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক ভাই মারা গেছেন বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ও চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।