রাসূলি-আফিফের ব্যাটে চট্টগ্রাম জয়

24

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

১৫৯ রানের লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং-ই। তার উপর দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন আফিফ হোসেনকে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা না করে উপায় নেই। তিন নম্বরে নেমে একাই যেন ম্যাচটা জেতালেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট হাতে ৫২ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বড়সড় অবদান রেখেছেন আফিফ হোসেন।
ঢাকার দেওয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১ রানে আল আমিন জুনিয়রের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। হাল ধরেন আফিফ। কিছুটা সময় নিয়ে শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং। তাতে পাওয়ারপ্লেতে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৫০।
উসমান খান আফিফকে সঙ্গ দিয়েছেন বেশ। তবে আরাফাত সানির বলে কাটা পড়েন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। এরপর রানের গতি একটু কমে। সেট হতে বেশ সময় নেন দারউইস রাসূলি। এরপর শুরু করেন তান্ডব। ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জেতান ২ ওভার হাতে রেখেই।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার মিজানুর রহমান ও উসমান ঘানি। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৬০ রানে ৩৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন মিজানুর। এরপর দ্রæতই আউট হন আরেক ওপেনার উসমান ঘানি। দলীয় ৭৯ রানে ৩৩ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর দ্রæতই আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা। দলীয় ৮৭ রানে ৫ বলে ৪ রান করে সৌম্য ও ১০৩ রানে ৫ বলে ৯ রান করে মোহাম্মদ মিথুন ফিরে যান সাজঘরে। এরপর অধিনায়ক নাসির হোসেন ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ান। তবে দলীয় ১৩৩ রানে ২২ বলে ৩০ করে আউট হন।
এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে দলীয় ১৫৩ রানে ৩ বলে ৫ রান করে আউট হন মোহাম্মদ ইমরান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স। আরিফুল হক ১৮ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে মেহেদী রানা ও নিহাদুজ্জামান নেন ২টি করে উইকেট।