রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপ্লবীদের স্মৃতি সংরক্ষণ করার আহবান

11

 

বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাবের সামনে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১১২তম জন্মদিবস উপলক্ষে গত ৫ মে প্রীতিলতা ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক, কিশোর সদস্য হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. জসিম, মো. রাসেল, মো. ফারুক, সাজু দাশ, সুপ্লব চৌধুরী, দিবাকর দাশ সহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণার উৎস। আমরা জীবন সংগ্রামে বিজয়ী হলে এই প্রীতিলতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসি। ঠিক একইভাবে কোন অশুভ শক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের উত্থান হলে আমরা এই প্রীতিলতার ভাস্কর্যের কাছে প্রেরণা জোগাতে ছুটে আসি। যুগে যুগে প্রীতিলতার আদর্শ আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে বলে যাব।
বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে একই সূত্রে গাঁথা। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হল বিপ্লবীদের যে সমস্ত স্মৃতি রক্ষা করা হচ্ছে সবগুলো বিপন্ন স্মৃতি। যেমন চট্টগ্রাম জেল কারাগারে ঐতিহাসিক নির্দশন ফাঁসির মঞ্চে বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদারের নাম ও মুর‌্যাল সংযুক্ত করা হয়নি। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের স্মৃতি দামপাড়া পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগারটির নামকরণ করা হল পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ও পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার জন্য। ঠিক একইভাবে যাত্রা মোহন সেন এর বাড়ির নামকরণ করেছে স্বাধীনতা জাদুঘর। আমরা বলেছি এটির নামকরণ করা হোক যাত্রা-যতিন-নেলী সেনগুপ্ত জাদুঘর।
বিপ্লবীদের কোন দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন না করার কারণে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এই গৌরবগাথা ইতিহাস জানে না। তাই আমরা সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল যুব বিদ্রোহ দিবস, ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারী মাস্টারদা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদার এর ফাঁসি দিবস, ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এর আত্মাহুতি দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হোক। বিজ্ঞপ্তি