‘রাষ্ট্রবিরোধী’ খবরে অর্থদণ্ড থাকবে, এমাউন্ট আরো পর্যালোচনা হবে

12

পূর্বদেশ ডেস্ক
রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হানিকর বা যে কোনো অপসাংবাদিকতার জন্য সংবাদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার বিধান রেখে সংশোধন হচ্ছে প্রেস কাউন্সিল আইন। বর্তমান আইনে এই ধরনের খবর প্রকাশে তিরস্কারের বিধান ছিল; এখন তা আরও কঠোর হচ্ছে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন-২০২২’ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক হওয়ার পর সচিবালয়ে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্টের সংশোধনীর খসড়া নিয়ে আসা হয়েছে। সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মানোন্নয়ন, সংরক্ষণ এবং অপসাংবাদিকতা দূরীভূতকরণের লক্ষ্যে কাউন্সিল কর্তৃক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা ক্ষুণেœর দায়ে তিরস্কারের পরিবর্তে অর্থদÐ করার বিধান রাখা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ।
জরিমানার অঙ্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু কেবিনেট সেটাতে রাজি হয়নি। অর্থদÐ থাকবে, কিন্তু এমাউন্টটা আরও পর্যালোচনা করা হবে।
নতুন আইনের অধীনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতাষ ও সার্বভৌমত্ব হানিকার কোনো সংবাদ, প্রতিবেদন, ছবি ও কার্টুন প্রকাশের ক্ষেত্রে কাউন্সিল স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে। কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ সংশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের বাধ্যবাধকতাও থাকছে।
এই আইন মুদ্রিত সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি সব ধরনের ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমের জন্যও কার্যকর হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। আইন সংশোধন করে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৭ জন করা হচ্ছে।
তথ্য অধিদপ্তরের একজন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন এবং সামাজিক সংগঠনের একজন নারী সদস্যকে কাউন্সিলের সদস্য করা হবে। কাউন্সিলের সচিবের পদের নাম পরিবর্তন করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) করা হচ্ছে।