রাষ্ট্রপতির সংলাপ ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, এই সরকার ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার’ জন্য আবারও বিভিন্ন কলাকৌশল শুরু করেছে।
রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডেকেছেন, কীসের সংলাপ? এই সংলাপ ইতোমধ্যে বেশকিছু রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। তারা পরিষ্কার করে বলেছে যে, এই সংলাপে লাভ হবে না, অর্থহীন সংলাপ। নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই, যদি নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার নিরপেক্ষ না হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম সমাবেশের আয়োজন করে। এতে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার শাসনামলে এদেশকে মধ্য আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এই ১৩ বছরে দরিদ্র মানুষ দরিদ্রতর হয়েছে; বড় লোক আরও বড় হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা অন্যায়ভাবে সমস্ত সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করে সম্পদ গড়ছে।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করে বলেন, উনি বলেছেন, আমি ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে আমি তোমাদেরকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছি, ৪১ সাল পর্যন্ত আমি তোমাদেরকে ধনী দেশ বানাব। ৪১ সাল-মাস নয়, খালি দিন গুণতে থাকেন। পতনের ঘণ্টা বাজছে; তার সঙ্গে সুর মেলান। একদিন বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহব্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মশিউর রহমান, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, সেলিম ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন ও কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সমাবেশে বক্তব্য দেন।