রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

15

পূর্বদেশ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা এই সমর্থন-সহযোগিতা চান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চাই। এ ব্যাপারে রাশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতা প্রয়োজন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। এতে রোসাটম সহযোগিতা দিচ্ছে।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি রোসাটমের মহাপরিচালককে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহব্বান জানান, যাতে তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে পারে।
লিখাচেভ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) পরিচালনার জন্য তারা বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আরএনপিপি’র নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন এবং তারা প্লান্টের কাছাকাছি এলাকায় সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে আরএনপিপির কারিগরি ও নিরাপত্তার দিকগুলোও উপস্থাপন করেন।
রোসাটম মহাপরিচালক স্থানীয় কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান এবং অন্যান্য জনবলসহ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আরএনপিপিতে কাজ করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অনেক বাংলাদেশি কোম্পানিও রূপপুর কেন্দ্রে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে বলে জানান লিখাচেভ। তিনি আরএনপিপি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু কমিশনের সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন রাশিয়ান ফেডারেশনের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বাংলাদেশের অগ্রগতি কিছুটা থামিয়ে দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ এখন তা কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যাচ্ছে।
রোসাটম মহাপরিচালক আরএনপিপিতে কর্মরত ৯০ শতাংশের বেশি রাশিয়ান নাগরিককে কোভিড টিকা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।