রামুতে পৃথক ঘটনায় ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

8

রামু প্রতিনিধি

রামুতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পৃথক ঘটনায় ২ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় নিহতরা হলেন, রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নতুন মুরাপাড়ার মৃত ছমি উদ্দিনের ছেলে নাজির হোসেন নাজু (৫০) ও একই উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ধোয়াপালং রাবেতা এলাকার মৃত ইবনে আমিনের ছেলে আবদুল আমিন (৪৫)।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান উল্লাহ সিকদার জানান, রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে জমিতে ধান রোপণ করা নিয়ে মৃত ছমি উদ্দিনের ছেলেদের সাথে একই এলাকার জাফর আলমের ছেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারমুখি অবস্থান নেয়। সংঘর্ষে দা এর আঘাতে দুপক্ষের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এসময় নাজির হোসেনসহ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে আহতরা হলেন, নিহত নাজির হোসেনের ভাই আমির হোসেন, জাফর আলমের মেয়ে রাশেদা বেগম, ছেলে ইসমাইল এবং মনজুর আলমের ছেলে মো. রশিদ। এরমধ্যে গুরুতর আহত রাশেদা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত বুধবার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং রাবেতা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দা’য়ের কোপে গুরুতর আহত আবদুল আমিন গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় আবদুল বারির ছেলে নুরুল হক ও জামাতা আমির হামজাসহ ৬ থেকে ৭ জনের একটি দল তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হক জানান, দীর্ঘদিন দুইপক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এনিয়ে থানায় একটি পক্ষ অভিযোগ দিলে তা সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে দেয়া হয়। সমাধানের জন্য তিনি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন। কিন্তু সমাধানের আগেই দুইপক্ষের লোকজন বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে আবদুল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে ৬ থেকে ৭ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে।
এদিকে আবদুল আমিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল রবিবার সকালে রামুর খুনিয়াপালংয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গনি, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ, রমিজ আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৃথক ঘটনায় ২ জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুরো রামুতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
রামু থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসব ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।