রামগড়ে শীতবস্ত্রের রমরমা বেচাবিক্রি

35

কয়েক দিনের টানা শৈত্য প্রবাহে হালকা বাতাসে পাহাড়ি হিমেল হাওয়ার মধ্যে জীবনযাপন করছেন পাহাড়ের মানুষেরা। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত নিবারণের জন্য তেমন কোন উপায় না থাকায় সীমিত আয়ের ও খেটে খাওয়া পাহাড়ের মানুষেরা সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে শীতের মোকাবেলায় পাহাড়ের মানুষেরা প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন শীত বস্ত্রের দোকানগুলোতে।
শীতের প্রকোপে পাহাড়ের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য ও সবজি নিয়ে ঠিক সময়ে বাজারে নেয়া যাচ্ছে না। পাহাড়ে শীতের তীব্রতার সাথে তাপমাত্রাও নেমে আসায় দিনদিন যেন শীতের সাথে শৈত্য প্রবাহ বেড়েই চলছে। দিনের অর্ধেক সময় পার হলেও দেখা মেলেনা সূর্যের। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে শৈত্য প্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। শীতের সাথে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ মানুষের দেহে। প্রতিদিনিই দেখা যায় পাহাড়ের ক্লিনিক, ফার্মেসি গুলোতে মানুষের ভিড়।
রামগড় উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় ঠান্ডা বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি শিশুদের নিউমোনিয়ার আক্রমণ হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
প্রতি বছরের হাড় কাঁপানো শীত কাবু করে পাহাড়ের মানুষদের। গত বছরের তুলনায় এ বছর শৈত্য প্রবাহ একটু আগেই হামলে পড়ে পাহাড়ি জনপদে। পাহাড়ের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের যাতে শীতের প্রকোপ থেকে কিছুটা রক্ষা করা যায় সেজন্য সরকারি, বেসরকারি এলাকার জনপ্রতিনিধি, এনজিও ও সমাজের বিক্তবানরা এগিয়ে আসেন সহায়তার হাত বাড়াতে।
রামগড় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, এখানকার পাহাড়ি অঞ্চলে হিমেল হাওয়ায় ভেসে আসা তীব্র শীত ও শৈত্য প্রবাহ নিবারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের যথেষ্ট শীত বস্ত্র না থাকায় তারা কষ্ট করেন। আমরা রামগড় উপজেলা প্রশাসন, বিজিবির সহযোগিতায় কিছু জায়গা ছাড়া আর কোন সংস্থাকে তেমন শীত বস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
এদিকে রামগড় বাজারের খোলা বাজারের কয়েক জন শীত বস্ত্র বিক্রেতা সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে শীত বস্ত্র নিয়ে এসেছেন। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, লেপ, তোষক, কম্বল সোয়েটার, জ্যাকেট সহ অন্যান্য শীতবস্ত্রের চাহিদা আগের তুলনায় একটু বেশি। তাই সবদিক বিবেচনা করে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে শীতবস্ত্র বিক্রি করছি।