রাজারবাগী পীর সিন্ডিকেটের দখলমুক্ত হল স্কুল-মসজিদ

5

কক্সবাজার প্রতিনিধি

অবশেষে রাজারবাগী পীর সিন্ডিকেটের দখলমুক্ত হয়েছে কক্সবাজারের দরিয়ানগর বড়ছড়া গ্রামের স্কুল ও মসজিদ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর থানায় এক বৈঠকে গ্রামের স্কুল ও মসজিদে গড়ে তোলা রাজারবাগীদের আস্তানা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
গত বুধবার রাতে দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জাগির হোসেন নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ।
রাজারবাগী পীর সিন্ডিকেটের কবল থেকে দরিয়ানগর বড়ছড়া গ্রামের স্কুল ও মসজিদ জবরদখল থেকে মুক্ত করার দাবিতে গত রবিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মিছিল ও সমাবেশ করে দরিয়ানগর বড়ছড়ার বাসিন্দারা।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, এক যুগের বেশি সময় ধরে দরিয়ানগরবাসী রাজারবাগী পীরের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। তারা এলাকার স্কুল ও মসজিদ জবর দখলের পর বেতনধারী মুরীদদের দিয়ে সরকারি ও সাধারণ মানুষের জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, সমাজে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, ধর্মকে বিকৃত করা ও উগ্রবাদ ছড়িয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি নষ্ট করছে। এদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে হামলা, মামলা ও সাইবার অপরাধের শিকার হতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, রবিবারের সমাবেশের পর প্রামবাসীকে হুমকি দেয় রাজারবাগীরা। এর প্রতিবাদ করলে বুধবার রাতে রাজারবাগী পীর সিন্ডিকেটের ভাড়াটে লোকজন হামলা চালিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসীকে আহত করে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর থানায় এক বৈঠকে রাজারবাগীদের আস্তানা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। এরপর গ্রামবাসী আনন্দ মিছিল এবং শোকরিয়া নামাজ আদায় করেন। পরে নতুন ইমাম নিয়ে মসজিদে আসর নামাজ আদায়ের পর প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার সদর থানার ওসির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিলে মিলিত হন।
মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা নুরুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দরিয়ানগর বড়ছড়া জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা নুর মোহাম্মদ, গ্রামবাসী আহমদ গিয়াস, আমির হোসেন, মো. ইসমাইল, মাহবুব আলম, আবু ফরহাদ বোখারী, পারভেজ মোশাররফ, মাওলানা দীনুল ইসলাম, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, কৃষকলীগ নেতা ইমাম হোসেন, লুৎফুর রহমান কাজল, মাহবুব আলম প্রমুখ।