রাজাকারের তালিকায় আ.লীগের নেতা বেশি : রিজভী

29

প্রকাশিত স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় আওয়ামী লীগের নেতারা বেশি বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে এবার আওয়ামী লীগ নিজেরাই ফেঁসে গেছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মী। এতে জনগণ বিস্মিত নয়। কারণ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে’। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও সংশোধনের পর নতুন করে প্রকাশের সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের থলের বেড়াল বের হতে শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন উঠেছে’।
রাজাকারের তালিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেরাই ‘কুতর্কে লিপ্ত’ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দোষ, আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর দোষ চাপাচ্ছে’।
বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বন্দি খালেদা জিয়া ‘গুরুতর অসুস্থ’ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একমাসের বেশি সময় পরে গত ১৬ ডিসেম্বর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার স্বজনদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দেশনেত্রী হাঁটা-চলা করতে পারেন না, খেতে পারছেন না, হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং এতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জয়েন্টগুলো শক্ত ও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার অভাবে হাইলি অ্যাক্টিভ ডিফরমিং, রেমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ বেশ কয়েকটি রোগ চরম আকারে পৌঁছেছে’।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে না অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘তীব্র অসুস্থতায় কাতরালেও ডাক্তার আসেন না। ডাক্তার ঠিকমতো ওষুধ দিচ্ছেন না। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম ও ডা. মামুনকে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বাস্তবে তার কোনো চিকিৎসাই হচ্ছে না এবং ঔষধও দেওয়া হচ্ছে না’। খালেদা জিয়ার ‘অবিলম্বে’ সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিও জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।