রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত

19

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে যে অপশক্তিটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিরামহীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের মূল হচ্ছে বিএনপি। দলটির জন্ম হয়েছে হত্যা, ক্যু, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা এবং সামরিক উর্দি পরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করার পর উচ্ছিষ্ট বিলি-বন্টনের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমন্বয় করে একটি জগাখিচুড়ি রাজনৈতিক দল করেছে। দলটির মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম নেই। এরা বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে বিশ্বাস করে না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, এমনকি বিরোধী দলের নেতাও বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি কার্যকর করলেও যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসিত করেছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুিখ করা হয়নি। এ কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।
তিনি গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আন্দরকিল্লা চত্বরে আনন্দ-র‌্যালী পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১৯৮১ সালের এদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লুন্ঠিত মূল্যবোধ ও চেতনা পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাত ও ভোটের অধিকার। জনগণ মুক্তি পেয়েছে স্বৈরাচারের দুঃশাসন থেকে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল, তাদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ও জামায়াত জোট এদেশের জনগণ এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতিপক্ষ অপশক্তি। এরাই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। এরাই দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। বেগম জিয়ার পুত্র পলাতক আসামি তারেক রহমান লন্ডনে বসে অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছে। যুক্তরাজ্যে তারেক জিয়ার কোন বৈধ আয়-রুজি নেই। তারেক জিয়া দেশের একজন শীর্ষ অর্থ পাচারকারী হিসেবে সেখানে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং মানি লন্ডারিং এর মামলায় দোষী সাবস্ত হয়েছে।
তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগরীর ৬টি সংসদীয় আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকার প্রতীক দেবেন, তাকেই বিজয়ী করতে দলের সব নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমেদ।
পরে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে ব্যানার, ফ্যাস্টুন, বাদ্য বাজনাসহ আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। বিজ্ঞপ্তি