রাঙ্গুনিয়ায় হতদরিদ্রদের কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ

39

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৩০ দিনের কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরিদ্রদের দিয়ে কাজ করানোর কথা থাকলেও এই প্রকল্পে স্কেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে নিম্নমানের কাজ করানো হচ্ছে। খননযন্ত্রে পাহাড়ের কিনারা কেটে যেনতেনভাবে সড়ক সংষ্কারের কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এস এম চৌধুরী সড়কের মাছুপ্যাঘোনা মসজিদ থেকে পশ্চিম দিকে রাস্তা সংষ্কারে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৩০ দিনের কর্মস‚চি গ্রহণ করে। এ জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি কোব্বাত আলীকে। ৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দে ৫৯ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিক এই প্রকল্পে কাজ করার কথা রয়েছে। গত সোমবার ৬ জুন বিকেলের দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাত্র তিনজন ব্যক্তি রাস্তার পাশে পাহাড়ী রাস্তার কিনার কেটে স্কেভেটর দিয়ে মাটিগুলো রাস্তায় লেভেল করে দিচ্ছেন। জানতে চাইলে খননযন্ত্রের তত্ত¡াবধায়ক আমির হোসেন স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলতে বলেন। পরে মুঠোফোনে স্থানীয় ইউপি সদস্য কোব্বাত আলীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি। এলাকা থেকে বের হলে দেখা হয় কোব্বাত আলীর সাথে।
তিনি নিজেকে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে স্কেভেটর দিয়ে মাটির কাটার বিষয় স্বীকার করে বলেন, পাহাড়ী পথ তাই স্কেভেটর দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। পরে শ্রমিক দিয়ে করবো। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, কাজের ব্যাঘাত হলে কাজ বন্ধ রাখবো। রাস্তা সংষ্কারের জন্য কর্মী হিসেবে দেখানো একই এলাকার মো. আবদুল কাদের, মো. হোসেন ও আবদুল গফুর বলেন, তাঁদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ও এক কপি করে ছবি নেওয়া হলেও ৩০ দিনের কর্মস‚চি সম্পর্কে তাঁদের কিছু জানা নেই। জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল কান্তি চাকমা বলেন, প্রকল্পের কাজটি স্কেভেটর নাকি শ্রমিক দিয়ে করছে, কাজের মান কেমন, এলাকায় গিয়ে দেখব।