রাঙ্গুনিয়ায় মাল্টা চাষে ছৈয়দুল আলমের ভাগ্য বদল

24

মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া

রাঙ্গুনিয়ায় বিগত কয়েক বছর যাবৎ বেশ কয়েকটি সাইট্রাস জাতীয় বাগান সৃজিত হয়েছে। তার মধ্যে আলহাজ্ব ছৈয়দুল আলম তালুকদার এর মাল্টা বাগানটি অন্যতম। সুস্বাধু জাতের মাল্টা বাগান করে বদওে দিয়েছে তার ভাগ্য। বিস্তীর্ণ পাহাড় ও সমতল জায়গায় প্রায় ১৬০০ টি মাল্টা গাছ দিয়ে এ বাগানটি শুরু করা হয়েছে দুই বছর আগে। এবার কিছু কিছু গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। এখানে বারি মাল্টা ১ জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগানের মালিক আলহাজ ছৈয়দুল আলম তালুকদার বলেন এক সময় আমি এধরনের ফলের বাগান করে নিজে কিছু একটা করার স্বপ্ন ছিল। আজ তা বাস্তবে ধরা দিয়েছে। এ বাগানের জন্য আমি নিজে পরিশ্রম ও অনেক টাকা খরচ করেছি। জীবনের তাগিদে অনেক ব্যবসা সহ নানা কিছু করেছি। কোনটিতে সফলতা পায়নি। মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছি। আমার মাল্টা বাগানে এবার ফল আসতে শুরু করেছে বেশ ভালো লাগছে। প্রায় ৭ একর জমিতে মাল্টা চাষ করেছি। আমাদের দেখাদেখি এলাকায় অনেক যুবক ব্যবনায়ী অনেকেই মাল্টা চাষে এগিয়ে আসছে। তবে রাঙ্গুনিয়া কৃষি বিভাগ সাবৃক্ষনিক সহযোগিতা করেছে। এ বাগানের পরামর্শক উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবু উত্তম কুমার শীলের সাথে কথা বলে জানা যায় রাঙ্গুনিয়ায় বেশ কয়েকটি বড় ধরনের মাল্টা বাগান গড়ে ওঠেছে তার মধ্যে আলহাজ্ব ছৈয়দুল আলম তালুকদার সাহেবের বাগানটিও একটি। এবার প্রথম ফল রাখা হয়েছে। গাছগুলো তিন বছর আগে লাগানো হলেও এবার প্রথম ফল রাখা হয়েছে।
কেননা মাল্টা গাছ লাগানোর দু বছরের মধ্যে ফল রাখা হলে সাধারণত গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই তিন বছরের মাথায় ফল রাখা হচ্ছে গাছে। ফলের আকার বেশ বড়, প্রতিটির গড় ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম। মিষ্টিও বেশ ভাল,তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রাঙ্গুনিয়ায় যে হারে মাল্টা বাগান স্থাপন করা হয়েছে তাতে পুরো চট্টগ্রামের মানুষের মাল্টার চাহিদা পুরন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। রাঙ্গুনিয়া কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান, ছৈয়দুল আলমের মাল্টা বাগান সুস্বাধু জাতের। এবার বেশ ফলন এসেছে গাছে। আশা করি তার স্বপ্ন এবার পুরণ হবে। স্বুস্বাধু মাল্টা চাষে আমরা সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।