রাঙ্গুনিয়ায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

15

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর নদীতে এক যুবকের লাশ ভেসে উঠেছে।
নিহত যুবক মো. শহীদুল্লাহ (২৫) উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ফজল করিমের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে কর্ণফুলী নদীতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় নিখোঁজ হন শহীদুল্লাহ। পরে শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে নদীতে তার লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
নিহত শহীদুল্লাহর ছোট ভাই মো. সালামতুল্লাহ জানান, তার ভাই গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার বন্ধুদের সাথে কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে যান। তখন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে অনেক খুঁজেও তাকে পায়নি। শনিবার একই নদীর শিলক এলাকায় তার ভাইয়ের লাশ ভেসে উঠে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শহীদুল্লাহর সাথে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধুরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা ৮ জন মিলে মাছ ধরতে যান। রাত একটার দিকে শহীদুল্লহসহ তাদের উপর হামলা করে কিছু জেলে। তখন সবাই পালিয়ে যেতে পারলেও শহীদুল্লাহ পালাতে পারেননি।
শহীদুল্লাহর সাথে মাছ ধরতে যাওয়া একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বাদশাহ বলেন, শহীদুল্লাহসহ তারা ৮ জন শখের বশে বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে কোদালার ধোপাঘাট নামক স্থান দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে যান। এসময় ৫ জন নৌকা থেকে নেমে যান। বাকি ৩ জন নৌকাতেই ছিলেন। তখন হঠাৎ করে নদীর পাড় থেকে ৭-৮ জন লোক তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। তখন তারা পালাতে গেলে সেই লোকগুলো তাদের একজনকে কিরিচ দিয়ে কোপ দেয়। পরে সবাই পালিয়ে যেতে পারলেও শহীদুল্লাহ পালাতে পারে নি। শহীদুল্লাহকে ধরে ফেলে তারা। এরপর থেকেই শহীদুল্লাহ নিখোঁজ হয়। যারা তাদের উপর হামলা করেছে তাদের একজন হলেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মনি (৪০)।
এ বিষয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ কামরুজ্জামান সুমন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা শুনে আমরা শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধারে নদীতে দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করেও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি। শনিবার সকালে শিলক এলাকায় তার লাশ পাওয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল তার পরিবার। পরদিন নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তার পরিবার থানায় এসেছে। হয়তো এ বিষয়ে মামলা করবেন তারা। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে নাকি কেউ হত্যা করেছে সে বিষয়ে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সেটি জানা যাবে।