রাঙ্গুনিয়ায় দুইদিন ধরে লোকালয়ে ২ বন্যহাতি

40

রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুটি বন্যহাতি। জঙ্গল সরফভাটার জঙ্গল থেকে আসা হাতি দুটিকে সরফভাটা সিরিয়া পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিচরণ করছে। গত বৃহস্পতিবার গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত হাতি দুটি লোকালয়ে অবস্থান করছে বলে জানিয়েনে স্থানীয়রা। এতে তারা এলাকায় কারও ক্ষতি না করলেও স্থানীয়রা আতঙ্কিত। হাতিগুলোকে পাহাড়ে ফেরাতে বনবিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরফভাটা ইউনিয় পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম সরফী বলেন, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুটি বন্যহাতি দেখতে পাই। আমার বাড়ির সামনে খালি বিলে তারা অবস্থান করছিল। দিন বাড়ার সাথে সাথে এগুলো মধ্যম সরফভাটার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় বিচরণ করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাতি দুটি কয়েক দিন ধরে সিরিয়া ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন পাহাড়ে অবস্থান করছিল। রাতের বেলায় খাবারে সন্ধানে লোকালয়ে আসলেও ভোরে আবার ফিরে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তারা পাহাড় থেকে লোকালয়ের অনেক ভেতরে ভূমিরখীল এলাকায় চলে আসে। ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে আবার চলে আসে। তবে কারও তেমন কোন ক্ষতি না করলেও এগুলো কিছু গাছপালা ভেঙেছে। মধ্যম সরফভাটার জাফর আলম নামে এক ব্যক্তির ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সীমানা প্রাচীর ভেঙেছে। এ কারণে সবাই আতঙ্কিত। তবে কারও বাড়ি-ঘরে ঢুকেনি এবং কারও ফসসি জমি ও খেত নষ্ট করেনি। হাতিগুলো তাড়াতে বনবিভাগের লোকজন চেষ্টা চালাচ্ছে।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় বলেন, লোকালয়ে হাতি আসার খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কেউ যাতে তাদের বিরক্ত না করে সে বিষয়ে কাজ করেছি। পাশাপাশি কক্সবাজারের ডোলাহাজারীর বঙ্গবন্ধু সাপারি পার্ক থেকে হাতি তাড়ানোর অভিজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেন। মশাল জ্বালিয়ে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা অনেকটা পিছিয়েছে। আশা করি রাতের মধ্যেই এগুলো লোকালয়ে ফিরে যাবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি এলাকায় প্রতি বছর নিয়মিত হানা দেয় বন্যহাতির পাল। খাবারের সন্ধানেই তারা লোকালয়ে চলে আসে। গত ৬ বছরে বন্যহাতির আক্রমণে রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। বন উজাড়সহ হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ায় হাতির পাল নিয়মিত লোকালয়ে চলে আসছে। তাই হাতির নিরাপদ আবাসস্থল তৈরিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।