রাঙ্গুনিয়ায় এনজিওকর্মী খুনের আসামি গ্রেপ্তার

8

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ঋণের কিস্তির টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মী চম্পা চাকমা হত্যা মামলার প্রধান আসামি এনামুল হককে (২৭) সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। তিনি উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়ার পশ্চিম পাড়া এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব মিলকী।
সকালে পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. মাহাবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আসামি এনাম তার বোনের নামে ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু তিনি সঠিক সময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতেন না। চম্পা চাকমা তাকে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতেন এবং এক পর্যায়ে তার বোনের বাসায় ঋণ আদায় করতে যাবেন বলে জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে এনাম। ঘটনার পর এনাম পর্যায়ক্রমে রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সর্বশেষ সিলেটে আত্মগোপনে থাকেন। সেখানে তিনি একটি আবাসিক হোটেলে কাজ নেন। গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর থানার আসামপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, নিহত চম্পা চাকমা বেসরকারি সংস্থা ‘পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র’ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ব্রাঞ্চে সহকারী ব্যবস্থাপক (ঋণ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে পদক্ষেপ রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট কার্যালয় থেকে কাজ সেরে বাসায় ফিরছিলেন চম্পাসহ তার অন্য এক সহকর্মী। কার্যালয় থেকে বের হলে সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা আসামি এনামের সাথে কিস্তির টাকা চাওয়ার জেরে চম্পার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে এনাম ছুরি দিয়ে চম্পা চাকমার শ্বাসনালী বরাবর আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে চম্পাকে উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাতে নিহত চম্পা চাকমার বোনের স্বামী সোহেল চাকমা বাদী হয়ে মো. এনামুল হককে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার প্রায় এক মাস পালিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলো এনাম। এদিকে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। ওসি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।