রাঙ্গুনিয়ায় অজয় হত্যার বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

39

রাঙ্গুনিয়ায় তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রাঙ্গামাটির গহীণ জঙ্গলে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত তরুণ অজয় দাশকে (১৭) পরিকল্পীতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার মা বেবি দাশ। গত ২২ জুন সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন তার পুত্রকে যেই বন্ধু ফোন করে ঘর থেকে বের করেন সেই এই পরিকল্পীত হত্যার সাথে জড়িত। তিনি তার পুত্র অজয় দাশের ব্যবহৃত মুঠোফোনের কললিষ্ট বের করে সেই হত্যাকারী বন্ধুকে ধরার জোর দাবী জানিয়েছেন। উপজেলার শিলক ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন নটুয়ার টিলা ঊষার আলো ফাউন্ডেশন ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিলক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার। শিলক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. পারভেজের সঞ্চালনায় মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাইদার আলী তালুকদার, সদস্য দুলন বড়–য়া, যুবলীগ নেতা প্রনব কুমার দে, স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. হেলাল তালুকদার, প্রকাশ দাশ, রুবেল দাশ, শয়ন দাশ, রাসেল দাশ, আলমগীর হোসেন, মো. হাসান, মো. ফয়সাল, মো. মহিউদ্দিন, নিহতের মামা আশিষ দাশ, মো. শাকিল, মো. সাকিব, প্রনব দাশ প্রমুখ। প্রসঙ্গত গত সোমবার উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নটুয়ার টিলা এলাকার মৃত বীরেন্দ্র দাশের পুত্র অজ্ঞাত এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পুত্র বাড়ি না ফিরলে তার মা এদিন রাতেই স্বজনদের পরামর্শ অনুযায়ী রাঙ্গুনিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন। এভাবে তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। খবর পেয়ে তার স্বজনরা গিয়ে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল থেকে লাশটি সনাক্ত করে পোষ্ট মর্টেম শেষে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তার লাশ দাহ করা হয়। তার মা বেবি দাশ জানান, অজয় দাশ হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরী হাট এলাকায় একটি কার-মাইক্রো প্রিন্টিং দোকানে চাকুরি করতো। সেখান থেকে গত রোববার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অংশ নিতে বাড়ি এসেছিল। নিখোঁজের দিন শিলক ইউনিয়ন পরিষদে যায় সে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দুপুরে তার এক বন্ধু এসেছে জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়। সর্বশেষ তিন দিন পর লাশ হয়ে ফিরল অজয়। তার ছেলে আত্মহত্যা করার থাকলে এলাকাতেও করতে পারতো জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অজয় দাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি হাত ও পায়ের হাড়ও ভাঙা ছিল। যেখান থেকে লাশ পাওয়া গেছে সে জঙলে দিনের বেলায়ও মানুষ যেতে ভয় পাবে। তাই বুঝা যাচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। এই হত্যার বিচার দাবী করেছেন তিনি সহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।