রাঙামাটি ত্রাণ বিতরণ

7

সারা দেশের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে সংক্রমণের হার কম। সে জন্য বসে থাকলে চলবে না। তাই প্রশাসন ও সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। গত ১৯ এপ্রিল রাঙামাটি সার্কিট হাউজে সদর উপজেলা কর্তৃক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সচিব পবন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে তিন পার্বত্য জেলায় করোনা সংক্রমণের হার অনেকটা কম। এরকারণ পাহাড়ের মানুষ সারা দেশের ন্যায় অনেক সচেতন ও সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং শতভাগ মাক্স ব্যবহার করেন। রাঙামাটির প্রশাসন ও জনগণ এ ধারা অব্যাহত রাখলে পাহাড়ে সংক্রমণের সংখ্যা অবশ্যই কম থাকবে। তিনি আরও বলেন, দেশে যে হারে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে তাই সংক্রমণ এড়াতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাক্স পরিধান করতে হবে। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের সচেতন মহল সবাইকে এ সংক্রমণ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সেটা আমাদের মেনে চলতে হবে। যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা করতে সরকার প্রস্তুত। গত বছর আমরা সংক্রমণ মোকাবেলা করেছি এবারও সকলের সহযোগিতায় তা মোকাবেলা করবো। পরে তিনি রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং ডাক্তার নার্সদের মধ্যে মাক্স বিতরণ করেন। একই দিন দুপুর আড়াইটায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জানা যায়, রাঙামাটি সদর উপজেলা ২শ ৫০ জনও কাউখালী উপজেলায় ২শ ৫০ জন কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সচিব পবন চৌধুরী। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও নগদ ৫শ টাকা।