রাঙামাটিতে ৪০টি মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উদ্যাপিত হবে দুর্গোৎসব

13

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতিম সম্পন্ন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উদযাপন করা হবে শারদীয় দূর্গাউৎসব। সম্প্রতি দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৪০টি মন্ডপের পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদের ডেকে জেলা পুলিশ সকলের সাথে দূর্গাপুজা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন। পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর পিপিএম-সেবা মতবিনিময় সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দদের সাথে আইনশৃংঙ্খলাও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার পুলিশ সুপার স্থানীয় প্রিন্টও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া এক সাক্ষাতকাতকালে তিনি বলেন, আমার জানামতে দূর্গাপুজার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার পুজাতে প্রতি মন্ডপে মন্ডপে পুলিশ থাকছে না করোনা ভাইরাসের কারণে। তার পরও পুলিশ যানবাহন করে মোবাইল ডিউটিসহ সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় আমাদের বিট পুলিশ থাকবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিটি মন্ডপে এবারের দূর্গাউৎসব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উদযাপন করতে বলে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার কোন ঘাটতি নেই বললেই চলে। জেলার ৪০টি পুজামন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব পালন বা উদ্যাপন করতে হবে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার লোকবল বেশী নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে উৎসব করা যাবেনা। পুজা করতে গিয়ে অন্য ধর্মের ক্ষতি হয় তাও করা যাবে না। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের এক অংশের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার স্বপন কান্তি মাহজন বলেন, শারদীয় দূর্গাউৎসবের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে, আগামী ২৩ অক্টোবর সপ্তমীর মধ্যো দিয়ে পূজা শুরু হবে। আগামী ২৬ অক্টোবর বিজয়ী দশমীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গাউৎসব প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ করা হবে। এবার দূর্গাউৎসবে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা দূর্গাউৎসব পালন করব। তবে করোনা মহামারির কারনে উৎসবকে একটু ছোট আকারে করে নেব। রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ও সনাতন ধর্মাবলম্বী শংকর হোড় বলেন, এবারের দূর্গাউৎসবে তেমন কোন আমেজ নেই। কারণ করোনার ভয়ে অনেকে ঘর থেকে বের হবেনা। অন্যদিকে করোনার প্রকোবে অর্থনীতি অস্বচ্ছল হয়ে পড়ার কারণে মানুষের মনে তেমন কোন আনন্দ নেই। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূর্গাউৎসব পালন করতে হবে। যার কারনে দূর্গাউৎসবে আমেজ নেই বললেই চলে।