রাঙামাটিতে সড়ক ও পাহাড় ধস রক্ষায় মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসক

51

রাঙামাটিতে পাহাড় ধস ও রাঙামাটি- চট্টগ্রাম সড়কের ভাঙন রোধে দিন রাত পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। গত ৫ জুলাই থেকে রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় যে কোন সময়ে পাহাড় ধস ও সড়কের ভাঙন দেখা দিতে পারে। এসব থেকে রেহায় পেতে জেলা প্রশাসক নিজেই মাঠে নেমেছেন। জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে পাহাড় ধস হওয়ার সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। যারা বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন তাদের নিয়মিত তদারকি করছেন জেলা প্রশাসনের লোকজন। পাহাড়ি ঢলে পানির ¯্রােতে ভেসে গিয়ে রাঙামাটির লংগদু ও বরকলে দুজনের মৃত্য হয়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় রাঙামাটিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ধস হয়েছে। তবে পাহাড় ধসের ঘটনায় এখনও কেউ হতাহত হয়নি। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটিতে গত ১সপ্তাহের টানা বৃষ্টিপাতে বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। বেশ কিছু জায়গায় ছোট খাটো পাহাড় ধস হয়েছে। তবে জানমালের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। গতকাল থেকে বৃষ্টি কমতে শুরু করছে। বড় ধরনের আশংকা থেকে আল্লাহ সবাইকে রেহায় করছেন। গতকাল থেকে আশ্রয়িত লোকজন নিজ নিজ বাড়িঘরে যেতে শুরু করছেন। এদিকে সড়কের দু’এক জায়গায় ভাঙন রোধে সাথে সাথে কাজ করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বর্তমানে রাঙামাটির পরিবেশ পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব জিতু বলেন, বন্যায় প্লাবিত পানি অনেকটা কমে যাচ্ছে। আকাশের অবস্থা ভাল থাকলে ২-১ দিনের মধ্যে সব পানি নেমে যাবে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল তারা আজ কালের মধ্যে বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে।
জানমালের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। বাঘইছড়ির সাথে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের ১৪ মাইল এলাকায় সড়কের পাশ ধসে যাওয়ায় ঝুকির মুখে পড়েছে সড়কটি। প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা না করলে যেকোন সময় সড়কটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। রাঙামাটি সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা বলেন, সবকটি সড়ক ঝুঁকির মুখে আছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ার কলা বাগান এলাকায় এবং রাঙামাটি খাগড়াছড়ি সড়কের ১৪ মাইল এলাকায় সড়ক পাশ ধসে যাওয়ায় সড়ক দুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তারা কাজ করছে। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়াচর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কসহ হাজার বাড়িঘর ব্যহত হচ্ছে যান চলাচল। সড়কে পানি উঠায় রাঙামাটি লংগদু সাথে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ বন্ধ আছে। এদিকে পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।