রাঙামাটিতে রমজান আসার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি

171

পবিত্র মাহে রমজান আসার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে পেয়াজ, রসুন, আদা, লেবুসহ কাচা তরিতরকারির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। গত সোমবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে বনরুপা চৌমহনী মর্দি দোকান ওঅস্থায়ী সবজি বাজার আলফেসানি স্কুল মাঠ গিয়ে দেখা গেছে ৫০ টাকার পেয়াজ ৮০-৯০ টাকা, লেবু জোড়া ৪০-৫০টাকা, প্রতি কেজি আদা ২শ থেকে ২৩০ টাকা, ২০ টাকা কেজি আলু এখন ৩০ টাকা, রসুন ২শ টাকা, কাকরোলও প্রতিকেজি ১শ থেকে ১৩০ টাকা। এছাড়াও দাম বেড়েছে কাচামরিচ, ঢেঁড়শ, টমেটো, ডাল, খেজুর ও মৌসুমি ফলফলাদি। অন্যদিকে দাম বেড়েছে গরুর মাংস, বয়লার, দেশী মুরগিসহ কাপ্তাই লেকের বিভিন্ন ধরনের মাছ। জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ বলেন, শুনেছি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যে সব দোকানদার অন্যায় ভাবে ক্রেতাদের কাছে মাল বিক্রি করে দাম বেশি নেবেন তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ক্রেতাদের অভিযোগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন যখন মাঠে নামে তখন ব্যবসায়িরা কৌশল অবলম্বন করে পূর্বের দর বলে দেয়। এসব নিয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে না গিয়ে প্রাথমিক ভাবে দোকানদার দের সর্তক করে চলে আসার পর পরই যে লাউ সে কদু। প্রশাসনও আছে বেকায়দায়। এত সর্তক করার পরও ব্যবসায়ি ক্রেতাদের কাছ থেকে দর হাকিয়ে নিচ্ছে। আসল কথা হলো ব্যবসায়িরা সচেতন নহে। তারা শুধু নিজের কথাই ভাবছেন। ক্রেতাদের চিন্তা একবারও করছেনা। ব্যবসায়িদের বক্তব্য করোনার কারনে ও প্রশাসনের চাপে গাড়ি চালকেরা বের হচ্ছে না। গাড়ি চালকেরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে আসতে পথে পথে পুলিশের হয়রানি এবং রাঙামাটি আসার পর আবার ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়, যার ফলে গাড়ি চালকেরা ঘরে থেকে বের হতে চাচ্ছেনা। মূলতঃ ব্যবসায়িরা করোনার অজুহাত দিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম বেশী নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। আসলে দ্রব্য মূল্যের দাম তেমন বাড়েনি।
বনরুপা বৃহত্তর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আবু সৈয়দ বলেন,ব্যবসায়ি কমিটির পক্ষ হতে মাহেরমজানে বাজার মনিটরিং করা হবে।জনস্বার্থে প্রয়োজনে আমরা ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে মাহে রমজানের সম্মানার্থে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবো। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. এমদাদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের যে পরিস্থিতি এতে করে চরম জামেলায় আছে মানুষ। সে সাথে ব্যবসায়ি,গাড়ি চালক ও আড়ৎ মালিকেরা আছে বিভিন্ন সমস্যায় যার ,ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রব্যসূল্যের দাম বেড়েছে। আর এ অজুহাতে খুচরা বিক্রেতারা দাম বেশি নিচ্ছে। তবে আমি স্থানীয় ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে বলেছেন আড়ৎ মালিকেরা দাম বাড়ালে আমরা কি করবো।