রাঙামাটিতে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

4

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো তীব্র তাপদাহে পুড়ছে রাঙামাটি। এ কারণে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গরমে অস্থির হয়ে উঠছে খেটে খাওয়া মানুষ ও শিশুরা।
তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অসংখ্য রোগী। এদের মধ্যে বৃদ্ধ এবং শিশুর সংখ্যা বেশি। তাপমাত্রা যত বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও তত বাড়ছে।
তবে রোগীর চেয়ে হাসপাতালের আসন সংখ্যা কম থাকায় অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। বেডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগীর স্থান হয়েছে হাসপাতালের ফ্লোরে। -বাংলানিউজ
রাঙামাটি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হাসপাতালে শিশু বেড রয়েছে ১৮টি। বর্তমানে সেখানে শিশু রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৯জন।
৩৪টি মহিলা বেডের বিপরীতে সেখানে ভর্তি আছেন ৬৮জন। পুরুষ বেড রয়েছে ৫৪টি সেখানে বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছে ৬২জন।
আক্রান্তরা সবাই শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, তীব্র গরমে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও বেড না পেয়ে ফ্লোরে স্থান নিতে হচ্ছে রোগীদের। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, পুরো দেশে একই অবস্থা। গরমে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
শিশু রোগীর মা আমেনা বেগম বলেন, আমার দুই বছরের ছেলের প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে দু-দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ডাক্তাররা বলছেন এখন আমার ছেলে সুস্থ। দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ি নিতে পারবো।
একই স্থানের আরেক শিশুর বাবা হিতাশী চাকমা বলেন, গতকাল ডায়রিয়া এবং জ্বর নিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ডাক্তাররা চিকিৎসা দিচ্ছেন।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল হাই বলেন, গরম যত বাড়ছে শিশু রোগী ততই বাড়ছে। হাসপাতালে যে-সব শিশু ভর্তি হচ্ছেন তারা বেশির ভাগ শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। আমরা চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছি। তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে বিনা প্রয়োজনে বাচ্চাদের বাইরে যেন না আনেন। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, তরল খাবার এবং ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন।
রাঙামাটির সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বলেন, সরকার তীব্র গরমে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। এই তীব্র তাপদাহে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও যেন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হয়।
তিনি বলেন, বয়স্কদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তার বেশিরভাগ খেটে খাওয়া মানুষ। আক্রান্ত এসব রোগীরা শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র তাপদাহে রেড অ্যালাটের প্রস্তুতি হিসেবে হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ ওরস্যালাইন মজুদ রাখা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকদের একটি বিশেষ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।