রাঙামাটিতে জমি দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

20

রাঙামাটিতে জমি দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে পরিচালিত অভিযানে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে দুপুরেই আদালতে প্রেরণ করেছে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দু’জন হলেন রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের সাপমারা পাহাড় পাড়ার বাসিন্দা আবু আলম (৬০) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫২)। এছাড়াও গত বুধবার রাতে তাদের ছেলে সোহেলকেও গ্রেপ্তর করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, আবু আলম ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমসহ তাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে কাপ্তাই হ্রদসহ বিভিন্ন জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন জনের বাগান থেকে গাছ কেটে বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসী। এর পাঁচ দিনের মাথায় অভিযুক্ত এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এলাকায় আবু আলম-আছিয়া বাহিনী নামে পরিচিত তারা।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। কেপকো আজিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জোবায়ের ইকবাল বাদী হয়ে কোম্পানির জায়গা দখল করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আবু আলম ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে সোহেল নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার উপজেলা সদরের বালুখালী ইউনিয়নের সাপমারা পাহাড় বাঙালি পাড়ায় আবু আলম ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমসহ তাদের পরিবার বেপরোয়াভাবে জায়গা দখল, বিভিন্ন জনের বাগান থেকে গাছ কেটে বিক্রি ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। তাদের বেপরোয়া অপকর্মে অতিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ। কেপকো আজিজ লিমিটেড কোম্পানির সিংহভাগ জায়গা বেদখলে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত আবু আলম ও আছিয়া বেগম গং। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির প্রশাসন বিভাগের মো. জোবায়ের ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, কোম্পানিটির জায়গাটি দেখাশোনার জন্য আবু আলমকে কেয়ারটেকার রেখেছিলেন তারা। সেই সুযোগে সিংহভাগ জায়গা বেদখলে নেয়ার অপেচষ্টায় লিপ্ত আলম ও তার স্ত্রী এবং ছেলেরা। বাগানের সবগুলো গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। এতে কোম্পানির ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে আবু আলম গং। ওই এলাকায় কেপকো আজিজ লিমিটেডের ৮ একর জায়গা রয়েছে। এসবের সিংহভাগই বেদখল করে আছে দখলবাজরা।
নেজাম উদ্দিন ফকির, শাহাদাৎ হোসেন, জাহিদা বেগম, জামাল হোসেন, জসিম উদ্দিনসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আছিয়া বেগম রাঙামাটি সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পরিচয় দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে তিনি এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে যুক্ত তার স্বামী আবু আলমসহ ছেলেরা। স্থানীয় এলাকায় তাদের পরিচিতি আবু আলম-আছিয়া বাহিনী নামে।