রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির মামলায় ৩ জন কারাগারে

39

রাঙামাটিতে চাঁদাবাজি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বানু (৬০) ও তার ছেলেসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালাত। গত মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে করা সিআর মামলায় (নম্বর ১৩৩/১৯) জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন, নালিশি আদালতের জৈষ্ঠ বিচারক মো. বেলাল হোসেন। অপর দুই জন হলেন- আনোয়ার হোসেন বানুর ছেলে মো. রুবেল হোসেন (৩৫) হাসি মিয়ার ছেলে মো. মোরশেদ আলম (৩৪)। তাদের সবার ঠিকানা শহরের রিজার্ভ বাজার মসজিদ কলোনি। সাবেক পৌর কমিশনার আনোয়ার হোসেন বানু বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ও রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। এ মামলায় আরও দুই আসামি পলাতক। পুলিশ ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক মো. মঞ্জুর আলম বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন বানুসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ৩৮৫ ধারায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাঙামাটির আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করতে আদালতে হাজির হন এ তিন আসামি। এতে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় জামিন নামঞ্জুর করে তিন জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। খোরশেদ আলম (৩৬) ও রোমান (২৮) নামে আরও দুই আসামি পলাতক। মামলার বাদী মো. মঞ্জুর আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে আনোয়ার হোসেন বানুসহ তার কয়েক সহযোগী দলীয় প্রভাব দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। বানু কমিশনারের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বাদি বিবাদী উভয়ে শহরের রিজার্ভ বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা। মূলত তাদের মধ্যে জায়গা-জমির বিষয়ে ঝামেলা বাঁধে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে অটোরিকশা চালক মো. মঞ্জুর আলম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় কোতয়ালি থানাকে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেন আদালত। জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে তিনজনকে জেলাহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আরও দুই আসামি পলাতক।