রাঙামাটিতে করোনা সচেতনতায় জেলা প্রশাসক

107

রাঙামাটি প্রতিনিধি

সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সরকারি বিভিন্ন করোনা সচেতনতায় নানা তথ্য প্রচার করছে প্রতিনিয়তই। কিন্তু তবুও পর্যটন শহর রাঙামাটিতে করোনা আতংক যেন পাত্তাই পাচ্ছে না।
জনসাধারণের চলাফেরায়ও সেই সর্তকতা সেভাবে দৃশ্যমান হচ্ছেনা। তবে সপ্তাহান্তে শহরে স্পেন ফেরৎ এক নারীসহ ৬ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’এ রাখার খবরটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মাঝে বিদেশ ফেরতদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার খবর আসতে শুরু করেছে। এছাড়া পথে ঘাটে দেখা মিলছে পর্যটকদেরও। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সচেতনতায় এবার নিজেই মাঠে নামলেন রাঙামাটির ডিসি একেএম মামুনুর রশিদ। বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন ‘মাস্ক’ ও ‘লিফলেট’। বুধবার ছিল জেলার সর্ববৃহৎ কাঁচা বাজার বনরূপার সাপ্তাহিক হাটের দিন। এখানে কয়েক হাজার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হয়। তাই এই বিশাল জনগোষ্ঠির উপস্থিতিকে কাজে লাগাতে বেলা এগারোটায় করোনা সচেতনতায় নিজেই বাজারে হাজির হন জেলা প্রশাসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ জামাল উদ্দিন, জেলা রোভার স্কাউটস কমিশনার মোঃ নুরুল আবছারসহ বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
ডিসির একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটি পর্যটন শহর। নানান প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসছে। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। স্কাউট কমিশনার মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যক্তিগত অনুধাবনে না আসা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচারণা কোন কাজে আসবে না। তাই আগে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা জরুরি। এছাড়াও জনপ্রতিনিধি,স্থানীয় হেডম্যান কার্ববারী, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লোকজনের মাধ্যমেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।