‘রাঘব বোয়ালের’ খোঁজে পুলিশ

29

৭০ হাজার কেজি সরকারি চালকান্ডে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জড়িত রাঘব বোয়ালদের খুঁজে আইনের আওতায় আনার জন্য বুধবার ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযান পরিচালনাকারী নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই এস এম শফিউল আজম মুন্সি বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার একমাত্র আসামি পাহাড়তলী চাল বাজারের আড়তদার মেসার্স মাহী ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল বাহার মিয়াকে (৪৪) মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থাপনের পর বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৭০ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধারসহ একটি চালান পাওয়া গেছে। যাতে প্রেরক এস.এম. নুরউদ্দিন, সহকারী নিয়ন্ত্রক, জেটি খাদ্য অফিস, চট্টগ্রাম এবং প্রাপক ভা. ক., চরবাটা এলএসডি, নোয়াখালী এবং পরিবহনকারী / বাহক সবুজ এন্ড ব্রাদার্স। এ মামলার এজাহারে ডবলমুরিং মডেল থানাধীন পাহাড়তলী ডিটি রোড চাল বাজারস্থ মেসার্স মাহী ট্রেডিং নামক চালের আড়তে সরকারি চাল কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে গুদামজাত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আসামি আব্দুল বাহার মিয়া (৪৪) কে আটক করার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী পুলিন দাশ গুপ্ত (৫৫), মোহাম্মদ কামাল মিয়া মিন্টু (৫৬), প্রিতম দাশ গুপ্তসহ (২৩) আরও লোকজনের উপস্থিতিতে ধৃত আসামি আব্দুল বাহার মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেখানো মতে উল্লেখিত চালগুলো উদ্ধার করা হয়। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা আসামিদের মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে চালগুলো সংগ্রহ করে কালোবাজারীর মাধ্যমে বিক্রির উদ্দেশ্যে গুদামজাত করেছিল বলে স্বীকার করেন ধৃত আব্দুল বাহার মিয়াকে।
প্রসঙ্গত: নগরীর পাহাড়তলী চালের মোকাম থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে সরকারি আমদানিকৃত ৭০ হাজার কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। এসময় পাহাড়তলী চাল বাজারের আড়তদার মেসার্স মাহী ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল বাহার মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। মহানগর গোয়েন্দা বন্দর বিভাগের উপ কমিশনার ফারুল উল হক জানান, আটক ব্যবসায়ী সরকারি চাল ক্রয় সংক্রান্ত সিন্ডিকেটের সদস্য। এ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সরকারি চাল লাপাত্তা করার কাজে সম্পৃক্ত।